আর হবে না ট্রেন লেট! হাওড়া হোক বা শিয়ালদা, ট্রেন ঢুকবে ঠিক সময়ে, জবরদস্ত ব্যবস্থা করলো ভারতীয় রেল

আর হবে না ট্রেন লেট! হাওড়া হোক বা শিয়ালদা, ট্রেন ঢুকবে ঠিক সময়ে, জবরদস্ত ব্যবস্থা করলো ভারতীয় রেল

আর হবে না
ট্রেন লেট!

হাওড়া হোক বা শিয়ালদা,
ট্রেন ঢুকবে একদম ঠিক সময়ে!

রওনা দেবে এক্কেবারে
ঘড়ি ধরে!

জানেন কিভাবে সম্ভব হচ্ছে
এই কাজ?

শুনলে আনন্দে লাফাবেন
রেল যাত্রীরা!

ট্রেন লেট নিয়ে ভারতীয় রেল যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই! অভিযোগ, ট্রেন লেটের কারনে যাত্রীদের চরম হয়রানি শিকার হতে হয়। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ট্রেন লেট হলে দূরপাল্লা থেকে লোকাল, সমস্ত ট্রেনের যাত্রীদেরই চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের অফিসের লেট হয়,,, আর দূরপাল্লার যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে লেট হয়! ফলে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো একেবারেই সুখকর হয়ে ওঠে না। অনেক সময় পাঁচ ছয় ঘন্টা ট্রেন লেটের কারণে যাত্রীদের স্টেশনের মেঝেতেও বসে পড়তে হয়। উপায় না পেয়েই তাদের এমনটা করতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষরাও যাত্রীদের এই সমস্যা অস্বীকার করছেন না। দীর্ঘদিনের এই সমস্যাকে সমাধান করতে দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে।

নতুন এই পদক্ষেপটির ফলে আপনাকে এখন থেকে ট্রেনের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। ভারতের গর্ব রেলের মান বাঁচাতে ও রেলকে সঠিক সময় চালানোর জন্য বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর এই বিশেষ ব্যবস্থাটি নেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে এই ব্যবস্থা অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে। আর এই বিশেষ ব্যবস্থাটি হল রিয়েল টাইম ট্রেন ইনফরমেশন সিস্টেম। এটি প্রত্যেকটি লোকাল ট্রেনে বসানো হবে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলে আপনিও এই সুবিধাটি পাবেন। হাওড়া এবং শিয়ালদা দুটো স্টেশনের লোকাল ট্রেনেই এই পরিষেবা উপলব্ধ থাকবে।

কিভাবে ট্রেন লেট হওয়ার সমস্যাকে মোকাবিলা করবে এই পরিষেবা?

আসলে রিয়েল টাইম ট্রেন ইনফরমেশন এমন একটি প্রযুক্তি, যার সাহায্যে ট্রেনের সিগন্যাল এবং ট্রেনের ট্রেকের অবস্থা নির্ভুলভাবে যাচাই করা যাবে। আর এই দুটি বিষয় ট্র্যাকিং করা গেলেই বোঝা যাবে ট্রেন কোথায় রয়েছে এবং কোন অবস্থায় রয়েছে। ফলে ট্রেন চলাচলকে আরো বেশি মসৃণ করে তোলা যাবে। এখানেই শেষ নয় এই প্রযুক্তির সাহায্যে ট্রেন চলাচলের উপর প্রতিনিয়ত নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ করা আরো বেশি সহজ হবে। পাশাপাশি, সঠিক সময়ে, দ্রুত,, স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সিগন্যাল ট্র্যাক সার্কিট এবং পয়েন্ট এর সমন্বয় সাধন করা যাবে। স্টেশনের রেকগুলিকে সহজে চিহ্নিত করা যাবে। ট্রেন বাতিল থেকে শুরু করে যাত্রাপথ বদলানো সমস্ত কিছু এর মাধ্যমে সম্ভব হবে। আর এই বিষয়গুলো নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা গেলেই ট্রেন লেটের সম্ভাবনা কমে যাবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *