রাস পূর্ণিমায় ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ! তাহলেই সর্বনাশ, কপালে জুটবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপ!
রাস পূর্ণিমায় ভুলেও করবেন না
এই ৫টি কাজ!
তাহলেই সর্বনাশ! কপালে জুটবে,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপ!
ছারখার হবে সুখ-শান্তি,
বন্ধ হবে আয়-উন্নতি!
জীবনে ঘটবে
ঘোরতর অমঙ্গল!
কোন ৫টি ভুল করবেন না,
দেখুন –
১, সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন না – হিন্দু শাস্ত্রে রাস পূর্ণিমার তাৎপর্যতা অনেক। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, এই দিনটি শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে ভুল ত্রুটি হলেই শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপে ছারখার হবে আপনার জীবন। অনেকেই রাস পূর্ণিমা তিথিতে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। শাস্ত্রে এই কাজটি করতে বারণ করা হয়েছে। এদিন সর্ষের প্রদীপ জ্বালালে অমঙ্গল হয়। রাস পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ঘি এর প্রদীপ দেবেন। গুনে গুনে দশবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সামনে সেই প্রদীপ ঘোরাবেন।
২, বেলা করে স্নান করবেন না – রাস পূর্ণিমার নিয়ম হল, ব্রহ্মমুহূর্তে অর্থাৎ ভোর চারটের দিকে ঘুম থেকে ওঠা, তারপর স্নান সেরে, ভগবানের আরাধনা করা। কিন্তু অনেকেই রাস পূর্ণিমার মতন অত্যন্ত পবিত্র তিথিতেও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন এবং ভগবানের সেবা দেন। এতে করে ভগবান সন্তুষ্ট হন না। বরং ভগবানকে রুষ্ট করে,,,, আপনি ভগবানের রোষানলে পড়ে যান।
৩, তুলসী গাছের সঙ্গে এই ভুলটি করবেন না –
রাস পূর্ণিমার তিথিতে দেবী তুলসিরও পূজা করা হয়। কিন্তু অনেকেই এদিন দেবী তুলসীর আরতি করতে ভুলে যান। হিন্দু শাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেবী তুলসীর নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। তাই রাস পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথে সাথে দেবী তুলসীরও ভজন পাঠ হয়। তাই এদিন সন্ধ্যাবেলা তুলসী মঞ্চে প্রদীপ দিয়ে আরতি করতে ভুলবেন না। আর ভুল করেও সন্ধ্যা বেলায় তুলসী পাতা ছিড়বেন না।
৪, ভুল নাম জপ করবেন না – শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী রাস পূর্ণিমা তিথিতে, ১০৮ শ্রীকৃষ্ণের নাম জপ করতে হয়। অনেকেই এই নাম জপ করেন, কিন্তু জপ করতে গিয়ে,, সংখ্যা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম ভুল করে ফেলেন। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যদি সঠিকভাবে এই জপ নাম করতে পারেন তাহলেই করুন। এতে করে ভগবানকে অসন্তুষ্ট করার হাত থেকে বেঁচে যাবেন।
৫, উপোস ভেঙে ফেলা – রাস পূর্ণিমার পূর্ণ তিথিতে অনেকেই চন্দ্রদেবের জন্য উপোস করেন। এই উপোস অত্যন্ত জাগ্রত হয়। যারা এক মনে রাখেন তারা উপকার পান। কিন্তু যে সমস্ত ভক্তরা উপোষ রেখে কোনো কারণে ভেঙে ফেলেন তাদের উপর নেমে আসে ভগবানের অভিশাপ। তাই শাস্ত্রে, বলা হয়েছে, যারা উপোস রাখতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে এই উপোস না রাখাই ভালো। কারণ এই উপোস রেখে ভেঙ্গে ফেললে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রী রাধিকা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন।
Leave a Reply