পৃথিবী ধ্বংস

পৃথিবী ধ্বংস হবে কবে? ভয়ানক ভিবিষ্যদ্বাণী করলেন বিজ্ঞানীরা! পৃথিবী ধ্বংসের কারণ কি? জানেন পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আর কতদিন? ফুরিয়ে আসছে প্রাণবায়ু অক্সিজেন! জানেন পৃথিবীর শেষ দিনটা কেমন হতে চলেছে? এ কি কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা! জানলে পিলে চমকে উঠবে আপনারও!

গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিভীষিকা হল গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন। যার ফলে আগামী দিনে গোটা পৃথিবীতে নেমে আসতে চলেছে ঘোর অন্ধকার। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা সাবধান করেছেন বিশ্ববাসীকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হুঁশ ফেরেনি কারও।

বিজ্ঞানীদের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দিয়েই নির্বিচারে গাছ কেটে চলছে নগরায়ন। বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই জানিয়েছিলেন আগামী দিনে  পৃথিবীর উষ্ণতা এতটাই বেড়ে যাবে যে মেরু প্রদেশের বরফ গলে যেতে পারে পুরোপুরি। এর ফলে পৃথিবীর গোটা স্থলভাগ তলিয়ে যাবে জলের তলায়। পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারে অনেকদিন ধরেই নানা তথ্য উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। তবে এবার পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারে এক নতুন ভবিষ্যদ্বাণী শোনালেন বিজ্ঞানীরা।

তাঁদের দাবি অদূর ভবিষ্যতে অর্থাৎ আগামী কয়েকশো কোটি বছরের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে জলে ডুবে নয়। পৃথিবীর শেষ দিন আরও ভয়ানক হতে চলেছে। গাছ কাটার শাস্তি স্বরূপ প্রাণ বায়ু অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কলে ঢলে পড়বে গোটা প্রাণীজগত। পৃথিবীতে চিরস্থায়ী হবে না অক্সিজেন। আমাদের পৃথিবীর ২১ শতাংশ জুড়েই রয়েছে প্রাণবায়ু অক্সিজেন। কিন্তু বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, চিরকাল এমনটা থাকবে না। ২০২১ সালে ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল পৃথিবীতে এমন একটি দিন আসবে, যখন রাজত্ব করবে শুধু মিথেন গ্যাস! মিথেন যে কোনও প্রাণীর শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি গ্যাস।

তাই আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যেই এই নীল গ্রহ থেকে হারিয়ে যাবে প্রাণী জগতের অস্তিত্বও। শুধু তাই নয়, পরিবেশে যখন ওই পরিবর্তন ঘটবে, তখন দ্রুত বদলে যাবে গোটা পরিস্থিতি। আজ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগের পরিবেশ ফিরে আসবে পৃথিবীতে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিঅক্সিজেনেশন।

বিজ্ঞানীদের অনুমান, আগামী কয়েকশো বছরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে দ্রুত গতিতে কমবে অক্সিজেনের মাত্রা। অক্সিজেন কমতেই বাড়বে  শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। সমস্ত প্রাণীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। মানুষও আর থাকবে না।

বিজ্ঞানীদের দাবি পৃথিবী ধ্বংসের প্রধান কারণ হবে সূর্য। এই সময় সূর্য এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যে তা পৃথিবীর পরিবেশ ধ্বংস করবে। যার ফলে শেষ হয়ে যাবে অক্সিজেন।বিজ্ঞানীরা  আবহাওয়ামণ্ডলের বিস্তারিত মডেল প্রকাশ করে দেখিয়েছেন কীভাবে সূর্যের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির  সাথে সঙ্গে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমতে থাকে। এরফলে পৃথিবীতে গাছও বাঁচতে পারবে না। সালোকসংশ্লেষের  সময় গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ত্যাগ করে। তাই কার্বন ডাই অক্সাইডের অভাবে আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যে পৃথিবী  উদ্ভিদ শূন্য হয়ে যাবে।

এছাড়াও পৃথিবী অক্সিজেন শূন্য হওয়ার পিছনে আছে আরও একাধিক কারণ। তবে আশার কথাও শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাঁদের মতে, আগামী কয়েকশো বছরে পৃথিবী থেকে অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলেও চিন্তা নেই। কারণ বিজ্ঞানীরা আশাবাদী তত দিনে অন্য কোনও গ্রহে বসতি স্থাপন করবেন মানুষ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *