বন্দে ভারতে যুক্ত হল স্লিপার কোচ! যার তেজে কাঁপছে শতাব্দী, রাজধানী, কবে চলবে এই ট্রেন? বাংলার কোন রুটে মিলবে প্রথম পরিষেবা? বন্দে ভারতে যুক্ত হল

বন্দে ভারতে যুক্ত হল স্লিপার কোচ! যার তেজে কাঁপছে শতাব্দী, রাজধানী, কবে চলবে এই ট্রেন? বাংলার কোন রুটে মিলবে প্রথম পরিষেবা?

বন্দে ভারতে যুক্ত হল
স্লিপার কোচ!

যার তেজে কাঁপছে
শতাব্দী, রাজধানী!

প্লেনের থেকেও সুন্দর,
বাঘের মতন স্পিড!

এই ট্রেনের ভিতরে যা যা আছে,
না দেখলে বিশ্বাসই হবে না!

কবে চলবে এই ট্রেন?
বাংলার কোন রুটে মিলবে প্রথম পরিষেবা?
খরচ কত?

বন্ধ ভারত এখন অতীত!! এবার মানুষের কৌতুহল জেগেছে বন্দে ভারত স্লিপারকে ঘিরে। বন্দে ভারতকে তাক লাগাবে বন্দে ভারত স্লিপার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বন্ধ ভারত স্লিপার, অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক এবং নিরাপদ হবে। এ ট্রেন বড় বড় অভিজাত ট্রেনগুলোকেও ছাপিয়ে যাবে। বন্দে ভারত স্লিপার বিলাসবহুল প্লেনকেও টেক্কা দিতে ওস্তাদ। এই ট্রেনে একবার চললে আপনি হয়তো আর প্লেনের টিকিট কাটতে চাইবেন না। এই ট্রেনটির আরামদায়ক সুব্যবস্থা আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেবে। আপনি বোধহয় কখনো কল্পনাও করেননি যে, একটি স্লিপার ট্রেন এত সুন্দর ও চোখ ধাঁধানো হতে পারে। বন্ধ ভারত স্লিপার এক্সপ্রেস ট্রেনটি, দেখলে আপনার স্লিপার ট্রেন সম্পর্কে পূর্বের সমস্ত ধারণা ভেঙ্গে যাবে।

ঠিক কেমন হতে চলেছে বন্ধ ভারত স্লিপার ট্রেনটি?

এক নজরে দেখুন বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের অন্দরসজ্জা।

প্রথমেই জানাই বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন, একেবারে সুপার স্পেশাল প্রিমিয়ার লেভেলের একটি ট্রেন। এটি শতাব্দি রাজধানীর মত বড় বড় ট্রেনগুলোকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। নজরকাড়া, উঁচু দরের সমস্ত ব্যবস্থা এই ট্রেনটিতে থাকবে। ট্রেনটিতে চেয়ারকার পরিষেবা থাকবে। পুরো ট্রেনটি ঝকঝকে চকচকে কাঁচ দিয়ে ঘিরে থাকবে। সর্বত্র ওয়াইফাই ব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনটির বাথরুমে ইংলিশ এবং বাংলা দুরকমেরই কমোড থাকবে। বাথরুমগুলোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সব সময় বজায় রাখা হবে। ট্রেনটির কোন কোচে যাতে ময়লা আবর্জনা না জমে তার জন্য সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে। ট্রেনটিতে থাকবে ১৬ টি কোচ । এর মধ্যে ১১ টি এসি এবং তিনটি টায়ার কোচ থাকবে। যার মধ্যে থাকবে ৬১১ টি বার্থ। এছাড়াও প্রত্যেকটি কোচে তিনটি করে টয়লেট থাকবে। যাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি কোচে উন্নত মানের সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকবে। কোনও যাত্রীর বিন্দুমাত্র অসুবিধা হলে, তৎক্ষণাৎ আরপিএফ এর তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্রেনটির গতিবেগ কত হতে পারে আপনাদের ধারণা আছে? শুনলে হয়তো চমকে যাবেন! এই ট্রেনটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই গতিবেগ আবার পরবর্তীতে বাড়িয়ে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্তও করা হতে পারে। বুঝতেই পারছেন এই পরিমাণ গতিবেগে যদিএকটি ট্রেন ছোটে, তাহলে গন্তব্যে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় লাগবে না। ফলে যাত্রীদের অঢেল সময় বেঁচে যাবে।

রেল মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বন্ধ ভারত স্লিপার ট্রেনটি ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই চালু করা হবে। অনেকেই জানতে চাইছেন বাংলার কোন রোটে প্রথম পাওয়া যাবে এই পরিষেবা! এই বিষয়ে অফিশিয়াল কোন খবর মেলেনি। তবে কানাঘুষয় শোনা যাচ্ছে কলকাতা-মুম্বাই এবং কলকাতা-দিল্লী বাংলার এই দুটি রুটে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। ভারতবাসীকে এ পরিষেবাটি দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে ভারত সরকার। তবে পরিষেবাটি পেতে কেমন , কি খরচ হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি এখনো।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *