জীবনেও বন্ধ হবে না লক্ষ্মীর ভান্ডার! বদলে গেল লক্ষ্মীর ভান্ডারের গোটা নিয়ম, মমতার প্ল্যান শুনে থ বাংলার মা বোনেরা

বদলে গেল লক্ষ্মীর ভান্ডারের গোটা নিয়ম! এই প্রথমবার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে এত বড় পরিবর্তন, শুনলে খুশিতে লাফাবে বাংলার মা বোনেরা

বদলে গেল লক্ষ্মীর ভান্ডারের
গোটা নিয়ম!

এই প্রথমবার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে
এত বড় পরিবর্তন!

মমতার প্ল্যান শুনলে খুশিতে লাফাবে
বাংলার মা বোনেরা!

রাজ্যজুড়ে বেশ জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। দিন দিন বেড়েই চলেছে এই প্রকল্পের কদর। এই জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে মরিয়া জননেত্রী মমতা। এবার এই জনপ্রিয়তাকে আরো বেশি সুরক্ষিত করতে, আরো বড় উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নতুন উদ্যোগটির ফলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সঙ্গে জুড়বে দুর্দান্ত একটি সুবিধা। এখন আপনারা অনেকেই ভাবছেন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ঠিক কি হতে চলেছে। অনেকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তাহলে চলুন আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জেনে নিন –

রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর এর নিয়ম হলো ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী প্রত্যেকটি মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের ৫০০ টাকা করে এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এবার এই নিয়মে বিশেষ একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেটি হলো ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না। ৬০ বছর পর লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতায় পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এই লক্ষ্মীর ভান্ডার যখন বার্ধক্য ভাতায় পরিণত হবে, তখন প্রত্যেক মহিলাকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।এভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার এর সঙ্গে জুড়ে যাবে বার্ধক্য ভাতা। রাজ্যের কোনও প্রকল্পে এত বড় পরিবর্তন আগে আনা হয়নি। এই প্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এত বড় সিদ্ধান্ত নিল।

সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেই এই সম্পূর্ণ বিষয়টি খোলসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন-

‘নতুন করে যেসব ৯০ লক্ষ মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বিধবা ভাতা প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন তাদের পেনশন দেওয়া শুরু হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। সব রেডি করে রেখেছি। এই প্রকল্প কোনদিন বন্ধ হবে না। আর কাউকে নতুন করে আবেদন করতে হবে না, কারণ যে সকল মহিলাদের বয়স যখন ৬০ বছর পেরিয়ে যাবে তখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিজে থেকেই বদলে যাবে বার্ধক্য ভাতায়।‘

অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এর মধ্যে নতুন করে যারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করেছেন, তাদের ও পুরনো যারা উপভোক্তা রয়েছেন প্রত্যেককেই এই পরিষেবার আওতায় আনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বার্ধক্য ভাতাই পরিণত হবে। এই প্রকল্প তিনি পদে থাকাকালীন কখনোই, কোনদিনও বন্ধ হবে না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *