শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ভারতীয় রেলই ভরসা! চলন্ত ট্রেনের ওপর বজ্রপাত হলে কি হবে? কখনও ভেবে দেখেছেন? বজ্রপাতের সময় যাত্রীরা কতখানি নিরাপদ? বর্ষাকালে বজ্রপাত হলে রেল তার মোকাবিলা কীভাবে করে জানেন?
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষের ভরসা ভারতীয় রেল। এটি বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। আমাদের দেশের প্রায় ১১৫,০০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিরা ধমনীর মতো বিস্তৃত এই রেল নেটওয়ার্ক। ভারতের ৭,৩৪৯টি স্টেশন থেকে প্রতিদিন ২০,০০০-এরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ৭০০০টিরও বেশি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে।
ঝড়-জল-বৃষ্টি যে কোন আবহাওয়াতেই গতি থামে না ভারতীয় রেলের। তাই নিরাপদ সুরক্ষিত এবং আরামদায়ক যাত্রার জন্য সকলেই চোখ বুজে ভরসা করেন ভারতীয় রেলের উপর। বজ্রপাতের কারণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসে প্রাণহানির খবর। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন চলন্ত ট্রেনের ওপর যদি বজ্রপাত হয় তাহলে কি ঘটবে? বজ্রপাতের পরেও ট্রেনে যাত্রীরা কি আদৌ নিরাপদ থাকবেন? বজ্রপাতের কারণে রেলযাত্রীদের প্রাণহানি হবে না তো? আসুন জানা যাক আসল সত্যিটা।
আসলে আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন ট্রেন চলাচল কখনোই থেমে থাকে না। আর ঝড় বৃষ্টির সময় ট্রেন থামা মানেই লক্ষ লক্ষ যাত্রীর ক্ষতি। এই কারণে ঝড়-বৃষ্টিতেও ট্রেন এক টানা ছুটতে থাকে। তবে যদি বৃষ্টির ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রেলের ট্রাক ভেঙে যায় কিংবা অন্য কোনো ক্ষতি হয় তাহলে ট্রেন থামতে বাধ্য হয়।
চলন্ত ট্রেনের ওপর বজ্রপাত হলে কি হবে?
আসলে এমন দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখে ভারতীয় রেল। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করে অত্যন্ত মজবুতভাবে তৈরি করা হয় একটি ট্রেন। ট্রেনের বাইরের অংশ অত্যন্ত মজবুত লোহা আর ইস্পাত দিয়ে তৈরী করা হয়। আর ভিতরের অংশ তৈরি করা হয় কাঠ দিয়ে। তাই বজ্রপাত হলেও লোহার তৈরি ট্রেনের কোনও ক্ষতি হয় না। তাই বজ্রপাত হলেও ট্রেনের যাত্রীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকেন।
শুধু তাই নয় লোহার তৈরি ট্রেনে আর্থিং ডিভাইসও বসিয়েছে ভারতীয় রেল। এই আর্থিং ডিভাইস যে কোনো দুর্যোগের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ট্রেনে বাজ পড়লে সেটি সবচেয়ে শটকার্ট রুট নেয় এবং বগি থেকে ট্র্যাকে এবং তারপর আর্থিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাউন্ডেড হয়। তাই দুর্যোগের সময়েও যাত্রীরা একেবারে নিরাপদ থাকেন।
Leave a Reply