বিরাট কোহলির শরীর জুড়ে রয়েছে মোট ১২টি রোমহর্ষক ট্যাটু, কাড়ন জানলে আপনিও তাঁর ফ্যান হয়ে যাবেন

বিরাট কোহলির শরীর জুড়ে রয়েছে মোট ১২টি রোমহর্ষক ট্যাটু, কারণ জানলে আপনিও তাঁর ফ্যান হয়ে যাবেন

বিরাট কোহলির শরীর জুড়ে রয়েছে
মোট ১২টি রোমহর্ষক ট্যাটু !

আর প্রতিটি ট্যাটুরই
এক আলাদা আলাদা অর্থ !

কোনটিতে স্বয়ং ভগবান,
তো কোনটিতে তাঁর বাবা

কিন্তু তিনি এতগুলো ট্যাটু
কেন করিয়েছেন জানেন ?

কি কি অর্থই বা রয়েছে
সেই ট্যাটুগুলির ?

জানলে একবার হলেও
লোম দাঁড়িয়ে যাবে আপনার!

ট্যাটুর প্রতি প্রথম থেকেই আসক্ত বিরাট কোহলি। শরীরে আঁকিবুকি করতে যে তিনি বড্ড ভালোবাসেন সে কথা নিজেই অনেকবার জানিয়েছেন। ট্যাটুর প্রতি আকর্ষণ থেকেই, সারা শরীর জুড়ে মোট এক ডজন ট্যাটু করিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২২ গজে বিরাটের খেলা যেমন আকর্ষনীয়, তেমনি আকর্ষণীয় বিরাটের এই ট্যাটুগুলো। এগুলো নিছকই কোনও সাধারণ ট্যাটু নয়। বিরাটের শরীরে যে বারোটি ট্যাটু রয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটির পেছনে রয়েছে দুর্দান্ত কিছু অর্থ। তাহলে চলুন বিরাটের শরীরে থাকা ট্যাটুগুলোর কি না ও কি অর্থ সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –

এক নম্বরে রয়েছে গডস আই – বিরাটের শরীরের প্রথমদিকের একটি ট্যাটু হল গডস এই। এই ট্যাটুটির অর্থ হলো ঈশ্বরের চোখ। এই ট্যাটুটি সম্পর্কে বিরাট কোহলি একবার জানিয়েছিলেন, এই ট্যাটুটি অত্যন্ত ক্ষমতাশালী। তিনি বিশ্বাস করেন তার সাথে যাই কিছু ঘটুক না কেন ঈশ্বর তার এই দৃষ্টি দিয়ে সমস্ত কিছুই দেখতে পান। সমস্ত বিপদ আপদ থেকে এই ট্যাটু তাকে রক্ষা করে।

দুই নম্বরের রয়েছে ‘মাদারস নেম’ নামক একটি ট্যাটু। এই ট্যাটুটির ব্যাপারে বিরাট কোহলি যা বলেছেন তা শুনলে আপনি হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। এই ট্যাটুটির পিছনে থাকা অর্থের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিরাট জানান, মাদারস নেম নামক এই ট্যাটু, পারিবারিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। বিরাট যখনই এই ট্যাটুর দিকে তাকান তখনই অনুষ্কা এবং তার নিজের মায়ের কথা মনে পড়ে।

তিন নম্বরের রয়েছে তার বাবার নামে একটি ট্যাটু। যেখানে লেখা রয়েছে বিরাট কোহলির বাবা প্রেম কোহলির নাম। ২০০৬ সালে বিরাট এর বাবা মারা যান। তখন বিরাট রঞ্জি ট্রফি খেলছিলেন। বিরাট কোহলির বাবা সব সময় চাইতেন তার ছেলে অনেক বড় ক্রিকেটার হবে। যাকে বলে তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু তিনি ছেলের তারকা হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারেননি। বিরাট কোহলি তারকা ক্রিকেটার হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার আগেই তার বাবা পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। আর তাই বাবার স্মরণে বাবার নাম খোদাই করেছেন বিরাট কোহলি।

বিরাট এর চার নম্বর ট্যাটুটি হল লর্ড শিবা। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও সমস্ত খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে এই ট্যাটুটি করিয়েছেন কিং কোহিলি। এমনটাই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

পাঁচ নম্বরে রয়েছে দা মনাস্ট্রি নামক একটি ট্যাটু। এই ট্যাটুর পিছনে রয়েছে একটি তাৎপর্যপূর্ন অর্থ। বিরাট কোহলি এই ট্যাটুটির অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। এই ট্যাটুটি বিরাট কোহলিকে কখনোই মানসিকভাবে দুর্বল হতে দেয় না। ট্যাটুটি করার পর থেকেই বিরাটের মধ্যে অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটে। যা দেখি বিরাট কোহলি নিজেও অবাক হয়ে যান।

বিরাটের ছয় নম্বর ট্যাটুটির নাম “টেস্ট ক্যাপ নম্বর ২৬৯’। এই ট্যাটুটির নামটি শুনতে একটু অবাক লাগছে তাই না। আসলে এই ট্যাটুটির সঙ্গে বিরাটের খেলার জগতের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক ঘটে বিরাট কোহলির। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিরাটের নম্বর ছিল ২৬৮।

বিরাটের শরীরের সাত নম্বর ট্যাটুটি হলো ওডিএই ক্যাপ ১৭৫। এই ট্যাটুটি করিয়েছিলেন ২০০৮ সালে। যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই ম্যাচে অভিষেক করেছিলেন বিরাট কোহলি। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিরাটের নম্বর ছিল ১৭৫।

এবার দেখুন বিরাটের আট নম্বর ট্যাটুটি। এই ট্যাটুটির নাম ট্রাইবাল আর্ট। বিরাট কোহলি জানিয়েছেন এই ট্যাটুটির মধ্যেও রয়েছে রহস্যজনক কিছু ক্ষমতা। এটি করার পর থেকেই বিরাটের ক্যারিয়ার নতুন নতুন মোড় আসতে থাকে। এই ট্যাটুটি আগ্রাসনের প্রতীক। সকালে ঘুম থেকে উঠে এই ট্যাটুর দিকে তাকালেই বিরাট কোহলি এনার্জি ফিল করেন।

বিরাটের শরীরে নয় নম্বর যে ট্যাটুটি রয়েছে, তার পেছনেও রয়েছে আরেকটি অবাক করা গল্প। বিরাটের নম্বর ট্যাটুটির নাম স্করপিও। এটি আসলে বিরাটের রাশিফল কর্কটের চিহ্ন। বিরাট কোহলি জানান জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এই ট্যাটু তার জন্য খুবই উপকারী।

এবার দেখুন বিরাটের ১০ নম্বর এই ট্যাটুটি। যা দেখতেও ভারি অদ্ভুত। এটি একটি জাপানি ট্যাটু। এটা ট্যাটুটির নাম জাপানি সামুরাই। এই ট্যাটুটি, সততা বিশ্বস্ততা এবং ন্যায়পরায়নতার প্রতীক। বিরাট কোহলি জানিয়েছেন এই ট্যাটু তাকে যে কোন লোভ এবং খারাপ কাজ থেকে সংযত থাকতে সাহায্য করে।

বিরাটের ১১ নম্বর ট্যাটুটি গোটা বিশ্বজুড়ে পরিচিত! আর এই ট্যাটুটি হল ওম। সারা বিশ্ব জুড়ে ওম শব্দটি ঐশ্বরিক শক্তিরূপে বিবেচিত হয়। অনুষ্কাকে বিয়ের পর বিরাট কোহলি আধ্যাত্মিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। বিয়ের পরেই এই ট্যাটুটি খোদাই করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরাট জানান অহংকার যাতে কখনোই তাকে বশে আনতে না পারে তার জন্যই এই ট্যাটুটি করেছেন তিনি।

বিরাট এর সর্বশেষ ১২ নম্বর ট্যাটুটি হলো, একটি কাস্টমাইজ করা ট্যাটু। বিরাটের শরীরে যতগুলো ট্যাটু রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় এবং নজরকাড়া হলো এই ট্যাটুটি। দীর্ঘদিন ধরে বিরাটের প্ল্যান ছিল নিজের জন্য একটি ইউনিক ট্যাটু বানাবেন। সেই লক্ষ্যেই নিজের পছন্দের ডিজাইন দিয়ে বাম হাতের নিচের দিকে, এই ট্যাটুটি খোদাই করেন। এই ট্যাটুটি বিরাট করান মুম্বাইয়ের অভিজাত এক ট্যাটু পার্লার থেকে। পরবর্তীকালে ওই ট্যাটুটির রং পরিবর্তন করেন বেঙ্গালোরের আরেকটি অভিজাত ট্যাটু পার্লার থেকে। বহু ধৈর্য ও কষ্ট সহ্য করে, এই ট্যাটুটি বানান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তবে এখনো পর্যন্ত প্রিয়তমা অনুষ্কার নামে কোনও ট্যাটু খোদাই করেননি তিনি। অনুরাগীদের মতে খুব শীঘ্রই হয়তো তিনি অনুষ্কার নামেও একটি ট্যাটু করাতে পারেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *