ভুলেও ছোঁবেন না এই ৫টি সবজি! প্রেগন্যান্ট মহিলা থেকে শিশু প্রত্যেকেই হয়ে যান সাবধান!
ভুলেও ছোঁবেন না
এই ৫টি সবজি
এই সবজিগুলোতে লুকিয়ে রয়েছে
বেশ কয়েকটি বিষাক্ত উপাদান!
এগুলো খেলেই
মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায় শতগুণ!
প্রেগন্যান্ট মহিলা থেকে শিশু
প্রত্যেকেই হয়ে যান সাবধান!
নইলে আজীবন পস্তাবেন!
কি নাম এই সবজিগুলোর?
দেখুন –
সবজি মানেই পুষ্টির উৎস। শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে সবজির কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু এই সবজিই যদি শরীরের জন্য বিষ হয়ে ওঠে, তখন কি করবেন? এমন অনেক সবজি রয়েছে, যার মধ্যে পুষ্টি নয় বরং বিষ থাকে। এ ধরনের সবজিগুলো সবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এগুলোতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা একেক জনের শরীরে একেক রকম বিক্রিয়া ঘটায়। আজকে সেই রকমই পাঁচটি বিষাক্ত সবজিকে চিনে রাখুন –
১, লাল মটরশুটি – স্বাস্থ্যসম্মত সবজি হিসেবে লালমটর শুটির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু আপনি এবার লাল মটরশুটি সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানতে পারবেন, যা শুনলে আপনি লাল মটরশুটি খাওয়ার আগে দশবার ভাববেন। লাল মটরশুটি যতই পুষ্টিগুণে ভরপুর হোক না কেন, এতে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন লাল মটরশুটি আমাদের শরীরের কোষকে আক্রমণ করতে পারে। যদি একান্তই লাল মটরশুটি আপনার খেতে ইচ্ছে করে সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি পদ্ধতি মানতে হবে। প্লাল মটরশুটিকে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ভালোভাবে সেদ্ধ করুন। এতে করে লাল মটরশুঁটিতে থাকা বিষাক্ত পদার্থ তাপে নষ্ট হয়ে যাবে।
২, রাঙা আলু – সবজির মধ্যে আরেকটি মারাত্মক খাবার হল রাঙা আলু। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি এই রাঙানো সবার জন্য ক্ষতিকারক নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই রাঙ্গা আলু কিংবা যাকে আমরা বলি মিষ্টি আলো এটি খুবই বিপদজনক। রাঙ্গা আলুতে প্রচুর পরিমাণে রক্তের শর্করা বাড়ানোর উপাদান থাকে। যার ফলে অতিরিক্ত রাঙ্গা আলু খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও রাঙ্গা আলুতে ম্যানিটোল নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদানটি সবার পেটে সহ্য হয় না। অনেকেই রাঙ্গা, আলু খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যাই ভোগেন। তাই রাঙ্গা আলু যাদের সহ্য হয় তারাই একমাত্র খান। আর নয়তো জোর করে রাঙ্গা আলু খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
৩, বুনো ওল – সবজির মধ্যে ওল খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই খাবার পাতে বুনো ওলের তরকারি রাখেন। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না বুনো ওল সবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে হাঁপানি ও সাইনাসের রোগীদের জন্য বুনো ওল খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। এতে করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও যারা সদ্য নতুন মা হয়েছেন তাদেরও বুনো ওল পাতে রাখা ঠিক নয়। কারণ ওল খুবই ঠান্ডা জাতীয় একটি খাবার। নতুন মায়েরা ওল খেলে মা ও শিশু উভয়েরই ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪, কচু শাক – কচু শাক অনেকেরই প্রিয়। হয়তো কচু শাকের ব্যাপারে শুনে অনেকেই মন খারাপ করতে পারেন। কিন্তু দুঃখের কিছু নেই কচু শাক সবার জন্য বিষাক্ত নয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য কচু শাক ক্ষতিকারক। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অতিরিক্ত পরিমাণে কচু শাক খেলে কিডনির সমস্যা দেখা যায়।
৫, পাহাড়ি বেগুন – শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও পাহাড়ি বেগুনকে বিষাক্ত সবজি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ পাহাড়ি বেগুনে এমন কিছু উপাদান থাকে যা প্রাকৃতিক টক্সিন হিসেবে বিবেচিত। যা মানব শরীরে গেলে নেতিবাচক বিক্রিয়া ঘটায়। তার মধ্যে পাহাড়ি বেগুনকে যখন বিভিন্ন মসলার সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করা হয় তখন তার প্রভাব আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই বেগুন কেনার সময় সচেতন হয়ে কিনুন। আর একান্তই যদি পাহাড়ি বেগুন খেতে মন চায় , তাহলে ভালো করে গরম জলে ধুয়ে হালকা সেদ্ধ করে তারপর খান।
Leave a Reply