ভ্রমণ কেন্দ্র

দেখতে দেখতে ২০২৩ সালটাও শেষ হতে চলল। বছর শেষ হওয়ার সাথে সাথেই পকেটও গড়ের মাঠ। কিন্তু শীত পড়তেই টো-টো কোম্পানিদের মনটাও বেড়ু বেড়ু করতে শুরু করে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেও এই ঘুরতে যাওয়া নিয়ে চলছে ভার্চুয়াল হাসি-ঠাট্টা। বেড়াতে যাওয়ার বিভিন্ন গ্রুপগুলোতেও ঘুরে বেড়াচ্ছে একটাই প্রশ্ন। কেন বেড়াতে যাচ্ছেন না? অপশন হিসেবে রয়েছে- টাকা নেই, সঙ্গী নেই, আর সময় নেই।

বেশিরভাগ মানুষই বেছে নিচ্ছেন টাকা নেই। তবে এবার টাকাও আপনার ভ্রমণের পথে কোন বাধা হতে পারবে না।পকেটে মাত্র ৫০০০ টাকা থাকলেই ব্যাস কেল্লাফতে! তাই ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে চললে এই কম বাজেটেও করা যায় ছোট খাটো ট্যুর। তাতে টাকা এবং সময় দুটোই বাঁচে। আর ঘুরতে যেতে পারলে মনটাও বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়। তাই এ বছরের মতো ঘুরতে যাওয়ার আক্ষেপটা কাটিয়ে ফেলতে আপনার জন্য থাকছে কম বাজেটে ভারতের আটটি জায়গায় তালিকা।

১) ঋষিকেশ, উত্তরাখণ্ড: নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর ধর্মীয় তীর্থ ক্ষেত্রের এক সুন্দর মেলবন্ধন ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের এই ঋষিকেশে। হিন্দুদের পবিত্র এই তীর্থস্থানটিই হল গঙ্গার উৎস। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ছুটে যান এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের সাক্ষী থাকতে। মাত্র  ১৫০০ থেকে ২৪০০ টাকার ট্রেনের টিকিট কেটেই চলে যাওয়া যায় ঋষিকেশে। মাত্র ১৫০ টাকাতেই পাওয়া যায় থাকার ঘরও।

২) বারাণসী, উত্তরপ্রদেশ: ভোলা মহেশ্বরের দর্শন পেতে বছর বারাণসী ঘাটের আরতি দেখতে প্রত্যেক বছর বছর বহু ভক্ত সমাগম হয় হিন্দুদের পবিত্র এই ধর্মস্থানে।  বারাণসী পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ এলাকা। এখানে থাকা খাওয়ার খরচ খুবই কম। বলা হয় এখানে দেবী অন্নপূর্ণার বাস, তাই কেউ এখানে অভুক্ত থাকে না।

৩) হাম্পি, কর্নাটক: কর্ণাটকের মনোরম সৌন্দর্য্য আর পুরোনো মন্দিরগুলোই এখানকার মূল আকর্ষণ। বিশেষ করে তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে থাকা মন্দিরে ধ্বংসাবশেষ আজও মুগ্ধ করে। কম খরচে ঘোরা যায় এই শহরও। চেন্নাই, কোয়েম্বাটুর বা সালেম থেকে সহজেই পৌঁছানো যায় এই শহরে।

৪) ম্যাকলিওডগঞ্জ, হিমাচলপ্রদেশ: একটু প্ল্যানমাফিক চললে লো-বাজেটেই ঘোরা যায়  দিল্লি থেকে ম্যাকলিওডগঞ্জ। মাত্র ২০০-৫০০ টাকাতেই পাওয়া যাবে ঘর ভাড়া।

৫) বিনসর, উত্তরাখণ্ড: কম টাকায় ঘুরতে যাওয়ার একটি দারুন জায়গা বিনসার ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারি। মাত্র ৯ঘণ্টায় দিল্লি থেকে কাঠগোদামগামী ট্রেনে চেপেই আসা যাবে এই জায়গায়। স্থানীয় বাস বা শেয়ার ট্যাক্সিতেই ঘোড়া যায় গোটা এলাকাটা।

৬) কন্যাকুমারী, তামিলনাড়ু: কন্যাকুমারী ভারতীয়দের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সমুদ্রতটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রকৃতি নানা রঙে ছবি আঁকে। এখানে হোটেলের ভাড়া শুরু হয় ৮০০ টাকা থেকে।

৭) কসৌল, হিমাচলপ্রদেশ: এখানে সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে রেখেছে প্রকৃতি। মাত্র ৮০০ টাকায় বাসের টিকিট কেটেই চলে যাওয়া যায় হিমাচলপ্রদেশের কসৌলে।

৮) ভারকালা সৈকত, কেরল: কেরলের এই মনোরম সমুদ্র সৈকতটি ‘লিটল গোয়া’ নামে পরিচিত। এই সমুদ্র সৈকতের কাছেই মাত্র ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়েই পাওয়া যায় গেস্টহাউস।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *