আজ থেকেই শুরু করুন গাঁদা ফুলের রস খাওয়া! খেলেই ধারে কাঁছে ঘেষবে না বড় বড় মারাত্মক ৫টি রোগ
আজ থেকেই শুরু করুন গাঁদা ফুলের রস খাওয়া!! খেলেই ধারে কাঁছে ঘেষবে না বড় বড় মারাত্মক ৫টি রোগ!! সেই সাথেই পালাবে পেটের যাবতীয় ময়লা!!….. নানা রোগের সর্বোত্তম দাওয়াই গাঁদা গাছের ফুল ও পাতা। আয়ুর্বেদ থেকে বিজ্ঞান দুটি ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক ঔষধের সার্টিফিকেট পেয়েছে গাঁদা ফুল। চিকিৎসকেরা বলছেন রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে গাঁদা ফুলের রস খেতে। যদি নিয়মিত গাঁদা ফুলের রস খান, তাহলে কোন পাঁচটি মারাত্মক রোগের হাত থেকে বেঁচে যাবেন দেখুন –
১, ক্যান্সারের জীবাণু নাশ – গাঁদা ফুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরে টিউমার হতে দেয় না। এছাড়াও গাঁদা ফুলে রয়েছে ফেভোনয়েড নামক উপাদান। এটি মানব দেহের ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে।
২, চামড়ার জীবাণু নাশ – আমাদের চামড়ায় নানা ধরনের জীবাণু থাকে। গাঁদা ফুলে থাকা আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এই জীবাণুকে নাশ করে। দুবেলা করে গাঁদা ফুল বাটা সারা গায়ে মাখলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। অনেকেরই চামড়ায় শ্বেতী ও দাদ রোগ থাকে, গাঁদা ফুল বাটা নিয়মিত লাগালে এই দুটি রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৩, আর্থ্রাইটিস – হাঁটু ব্যথা উপশমেও গাঁদা ফুলের ভূমিকা অনেক। যারা দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর ব্যাথা এবং গোঁড়ালির ব্যথায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত গাঁদা ফুল ও গাঁদা পাতা বেটে ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগালে উপকার পাবেন।
৪, চোখের ইনফেকশন কমায় – গাঁদা ফুল কেবলমাত্র পুজোর কাজেই লাগেনা। চোখের নানান রোগের দাওয়াই গাঁদা ফুল। অনেক সময় চোখে নানা ধরনের প্রদাহ ও ইনফেকশন হয়। চোখের এ ধরনের ক্রনিক সমস্যার ক্ষেত্রে গাঁদা ফুল ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, গাঁদা ফুল সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে।
৫, শিশুদের জ্বর কমায় – গাঁদা ফুলের একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। গাঁদা ফুলের পুষ্টিগুণে শিশুদের জ্বর কমে যায়। শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডা কিংবা জ্বরের সমস্যায় ভুগলে, তাদের গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে সামান্য রস খাওয়ান। জ্বর, সর্দি, কাশি নিমিষেই সেরে যাবে।
Leave a Reply