আম্ফান – ফণী তুচ্ছ! এবার মধ্যরাতে প্রবল বেগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! সাংঘাতিক বিপদে ভারত – বাংলাদেশ!
আম্ফান – ফণী তুচ্ছ!
এবার মধ্যরাতে প্রবল বেগে আছড়ে
পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম!
মিধিলির রেশ কাটতে না কাটতেই
চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ঘূর্ণিঝড়!
টগবগিয়ে ফুটছে বঙ্গোপসাগর !
সাংঘাতিক বিপদে ভারত – বাংলাদেশ !
৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জোর
তাণ্ডব চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়!
অশনি সংকেত দেখছে
হাওয়া অফিস!
কোথায় কোথায় হানাদারি
চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়?
পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায়
জারি রেড এলার্ট?
ব্যাক টু ব্যাক ঘূর্ণাবর্ত। একটা ঘূর্ণিঝড় শেষ হতে না হতেই হুমকি দিচ্ছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এবার আম্ফান, মোকা, মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে মিগজাউম। যেটি হতে চলেছে বছরের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ঘূর্ণিঝড়। যার কবলে ভয়ংকরভাবে প্রভাবিত হতে চলেছে বাংলাদেশ-ভারত ও মিয়ানমার উপকূল। আন্তরজাতিক হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এটি চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি হওয়া চার নম্বর ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়টি আগের তিনটি ঘূর্ণিঝড়কেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করছে আবহাওয়াবিদরা। মিগজাউম এর দাপটে লন্ডভন্ড হতে পারে ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট। এই ঘূর্ণিঝড়টি এতটাই শক্তিশালী হবে যে এটি, রাস্তার গাছ পর্যন্ত উপড়ে ফেলার মতন ক্ষমতা রাখবে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর আগামী দুদিনের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি মারাত্মক নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যেটি খুব শীঘ্রই শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সম্ভাব্য গভীর নিম্নচাপটি পরবর্তীতে মিগজাউমে পরিণত হতে পারে, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া বিশারদেরা।
এই ঘূর্ণিঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়বে ভারত – বাংলাদেশ, দুই বাংলায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গে ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝড়, বৃষ্টি হবে। প্রচন্ড দমকা হাওয়ায় কাঁচা বাড়ির টিনের চাল ও দরজা পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। হাওয়া বিশেষজ্ঞরা বারবার করে জানাচ্ছেন, এটি কোনও সাধারণ ঘূর্ণিঝড় নয়। অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের রেকর্ড পর্যন্ত ভেঙে দিতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়টি। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দক্ষিণবঙ্গ যতটা রিক্স জোনে রয়েছে, ঠিক ততটাই রিক্স জোনে রয়েছে অন্যান্য জেলাগুলোও। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় কড়া বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির ফলে পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা হুরমুরিয়ে কমবে। চরচড়িয়ে বেড়ে যাবে শীতের মাত্রা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপবে বঙ্গবাসী। কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় ঝেপে শীত পড়বে। বিগত কিছুদিন আপনারা ঠান্ডা অনুভব না করলেও এবার আপনারা ঠান্ডার আসল রূপ দেখতে পাবেন। আপনাদের প্রত্যেকের এই মুহূর্তে জেনে রাখা উচিত ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ঠিক কোথায় রয়েছে? এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ বঙ্গোপসাগরের উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে। মোটামুটি ২৯ শে নভেম্বরের দিকে এটি সবথেকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। তার আগেও এটি কিন্তু শান্ত থাকবে না। ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করার আগে থেকেই, আগ্রাসী ও ধ্বংসাত্মক লীলা চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়।
ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষেরাও এই ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। মোটামুটি বাংলাদেশ এবং ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষই এই ঘূর্ণিঝড় এর ফলে প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত হবে। স্থলভাগের চেয়েও যারা জলভাগের আশেপাশে বসবাস করছেন তাদের জন্য কড়া সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই পরিপ্রেক্ষিতে জেলেদের মাছ ধরতে না যাওয়ার বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। একইসঙ্গে একাধিক স্থানে লাল সংকেতও জারি করা হয়েছে।
Leave a Reply