ভারতীয় রেল

 

ভারতীয় রেল আমাদের দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। অফিসযাত্রী হোক কিংবা ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক কম সময়ে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য সকলেই চোখ বুজে ভরসা করেন ভারতীয় রেলের ওপর। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই প্রতিনিয়ত আনা হচ্ছে নিত্য নতুন  আধুনিক পরিষেবাও। বরাবরই কম খরচে যাত্রীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে ভারতীয় রেল। তাই আট থেকে আশি সকলের কাছেই ট্রেনের সফর অত্যন্ত আরামদায়ক। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতীয় রেলের যাত্রী সংখ্যা। তাই যাত্রীদের চাহিদার কথা ভেবেই বাড়ানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা। বর্তমানে দেশ ব্যাপি  প্রতিদিন  মোট ১০,৭৪৮ টি ট্রেন চলছে৷ যা নেহাত মুখের কথা নয়।

তাই প্রত্যেক ট্রেনের  যাত্রীদের সফর  নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখতে সদা তৎপর  ভারতীয় রেল। ট্রেনে সফরকালে যাত্রীদের যাতে কোনো অবাঞ্ছিত বিপদের সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য বেশ নিয়মে কড়াকড়িও এনেছে ভারতীয় রেল।

অনেক যাত্রীই এই সব নিয়ম না জেনেই অকারণ ভুল করে বসেন। যার ফলে প্রাণ সংশয় হতে পারে গোটা ট্রেনের যাত্রীদের। দূরপাল্লার ট্রেনের মধ্যেই যাত্রীদের মোবাইল,ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্ট করা থাকে। কিন্তু অনেকেই বাড়ির মতো ট্রেনেও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটি সারা রাত চার্জে বসিয়ে করে ফেলেন এক মস্ত বড় ভুল।

তাই জেনে রাখা প্রয়োজন এটি কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ট্রেনের নিয়মবিরুদ্ধ কাজ। রেলের নিয়ম অনুযায়ী রাত ১১টার পর যাত্রীরা চাইলেও মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে চার্জ দিতে পারবেন না। কারণ রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ট্রেনের মধ্যে চার্জিংয়ের ওপর  নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই এই ৬ ঘণ্টা চার্জিং ডকগুলিও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।

অনেক সময় মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বেশি চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে। তাই পূর্ববর্তী দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপদ এড়াতেই  ২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ম চালু করেছে ভারতীয় রেল। আসলে একবার বেঙ্গালুরু-হাজুর সাহিব নন্দেদ এক্সপ্রেসে  মোবাইল ফোন ওভারচার্জিং হয়ে গিয়ে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেই থেকেই রেল কর্তৃপক্ষ  রাতের বেলা চার্জিং সিস্টেম বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় রেল বিভিন্ন কারণে বারবার নানান দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। যার ফলে অনেক ক্ষতি হয়েছে রেলের। সেইসাথে থাকে  বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *