পকেটমারদের স্যালারি ৮০ হাজার, মাস গেলে মেলে ইনসেনটিভ! মাথায় হাত মালদা পুলিশের
পকেটমারদের স্যালারি ৮০ হাজার টাকা!
মাস গেলে মেলে ইনসেনটিভও!
যে যত বড় পকেটমার,
তত বড় বেতনের অঙ্ক!
দামী দামী মোবাইল থেকে
ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, সবই আছে এদের!
পকেটমারদের রাজকীয় জীবন দেখে,
মাথায় হাত মালদা পুলিশের
পকেটমার হইতে সাবধান! বাস হোক বা ট্রেন সব জায়গায় এই কথাটি আমরা শুনতে পাই। চলাফেরার সময় তাই নিজের পকেট বাঁচিয়ে চলি সবাই। নইলেই পকেটমারের কেরামতিতে পকেট হবে গড়ের মাঠ। পকেটমাররা খুবই নিখুঁতভাবে পকেট কাটেন। আমরা টেরই পাই না কখন তারা এই কাজটি সারেন। কিন্তু আপনারা কি পকেটমারদের একটি ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট সম্পর্কে জানেন। পকেটমাররাও পকেট মারার জন্য মোটা অঙ্কের বেতন পান। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। পকেটমাররাও একটি সংস্থার নিয়োজিত কর্মী। পকেটমারার জন্য তারা ৮০ হাজার টাকা করে স্যালারি।পান। সম্প্রতি পকেটমারদের তদন্তে নেমে,, মালদা পুলিশের হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যেখান থেকে প্রকাশ্যে এসেছে বেতনভুক্ত পকেটমারদের অজানা কথা।
কত টাকা বেতন পান পকেটমাররা??
সেখানে চাকরির আকালে বাংলার ছেলে পুলেরা বেকার ঘুরছে, দু পয়সা হাতে পাচ্ছে না, সেখানে শুধু পকেট মেরেই,, মাসের পর মাস মোটা টাকার বেতন কামাচ্ছেন পকেটমাররা। ভাবতো অবাক লাগে তাইনা!!! আরো অবাক করা বিষয় এইসব পকেটমারদের বেতন সরকারি কর্মচারীদের থেকেও বেশি। জানা যাচ্ছে যে পকেটমার যত ভালো পকেট মারতে পারেন তার বেতন তত বেশি। বেতনের অংক সর্বনিন্ম ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু, সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত যায়। এই অংক লাফিয়ে লাপিয়ে এক লাখ পর্যন্তও চলে যায়। তবে এই সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করে কে কত দক্ষ পকেটমার তার ওপর। পকেটমারের লাইনে যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, অভিজ্ঞ এবং নিখুঁতভাবে পকেট মারছেন তাদের বেতনের অংক তুলনামূলকভাবে সব থেকে বেশি হয়। এছাড়াও প্রতিদিন পকেটমারি করার আগে পকেটমারদের কিছু টার্গেট দেওয়া হয়। এই টার্গেট পূরণ করতে পারলে, তাদের ভাগ্যে আবার ইনসেনটিভও জোটে।
এই লাইনের সবচেয়ে বেশি কাজ করছে কারা?
তদন্তে জানা গিয়েছে, পকেটমারের লাইনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা। এর প্রধান কারণ অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের কেউ সহজে সন্দেহ করে না। এরা পকেটমারলেও সহজে এদের দিকে কারও নজর যায় না। আর তাছাড়া কখনো ধরা পড়লেও এদের অল্প বকাঝকা দিয়ে সকলেই ছেড়ে দেয়। ফলে ঝামেলা সেখানেই চুকে যায়। এই পেশায় নাবালকদের বেতনের অংক অনেকটাই বেশি থাকে। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ এবং তালিমের পরেই একজন দক্ষ পকেটমার তৈরি হয়। পকেটমারদের মতে, পকেটমারাটাও একটা শিল্প। অনেক অধ্যাবসায় এবং সাধনার পর একজন দক্ষ এবং বুদ্ধিমান পকেটমার হওয়া যায়। সব মিলিয়ে বলাই যাই সরকারি এবং প্রাইভেট কর্মচারীদের থেকেও ভালোই জীবন যাপন কাটাচ্ছেন পকেটমাররা। এদের জীবনযাত্রা দেখলে বড় বড় পয়সাওয়ালারাও লজ্জা পাবে।
Leave a Reply