পুরুষেরা আজই বন্ধ করুন এই ৫টি কাজ করা! নইলেই মারাত্মক সর্বনাশ, টাকে টাকে ভরে যাবে মাথা
পুরুষেরা আজই বন্ধ করুন
এই ৫টি কাজ করা!
নইলেই মারাত্মক সর্বনাশ!
টাকে টাকে ভরে যাবে সারা মাথা!
উঠে যাবে সমস্ত চুল!
আজীবন পস্তাবেন!
একবার এই কাজগুলো বন্ধ করলেই,
৭০ বছর বয়সেও থাকবে ঘন কালো চুল!
মেয়েদেরও হার মানাবে
আপনার চুল!
দেখে নিন এই ৫টি কাজ কি কি –
১, চুলে জেল দেওয়া – আজকাল বেশিরভাগ ছেলে, চুলের স্টাইল করতে গিয়ে চুলে জেল লাগান। অফিসের পার্টি হোক বা গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, নিজের বেস্ট লুকস দেখানোর জন্য ছেলেরা চুলে গাদা গাদা জেল লাগিয়ে চলে যান। কিন্তু এভাবে যে কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন, সেই নিয়ে কোনও ধারণা নেই। চুলের জেলে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে, যা চুলকে নষ্ট করে দেয়। চুলের আদ্রতাকে শুষে নে। ফলে জেলে মেখে কিছুক্ষণের জন্য আপনার চুল সুন্দরভাবে সেট হয়ে থাকলেও কিন্তু এই জেল আজীবনের জন্য আপনার চুলের ক্ষতি করে দেয়।
২, চুলে গরম জল দেওয়া – অনেক ছেলেরা গরম জল দিয়ে চুল পরিষ্কার করেন। এই অভ্যাসটি খুবই ক্ষতিকারক। কেউ কেউ মনে করেন, চুল গরম জল দিয়ে ধুলে সফট থাকে। কিন্তু এটা নিছকই ভুল ধারনা। গরম জল চুলের কোনও ভালো করে না, বরং চুলের ভিটামিনকে ধবংস করে দেয়।
৩, ড্রায়ার ব্যবহার – অনেক ছেলেই জেলের পাশাপাশি চুল এই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে। আজকাল ড্রায়ার ব্যবহার করে ছেলেরা চুলে নানা ধরনের স্টাইল করে। কেউ চুল স্পাইক করছে, কেউ ফ্ল্যাট করছে, কেউ বা আবার পাফ করছে! এই চুল নিয়ে কেরামতির শেষ নেই। আর এই কেরামতিতে ব্যবহার করা হয় ড্রায়ার! যা চুলকে রুক্ষ করে তোলে। ড্রায়ার বেশিদিন ব্যবহার করলে, পরবর্তীতে চরমভাবে এর মাশুল গুনতে হবে।
৪, চুলে কালার – আজকাল মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও চুলে নানা রকম কালার করছে। লাল, নীল, সবুজ – নানা রঙে সেজে ওঠে ছেলেদের মাথা। তবে এই কেমিক্যালবেস কালারগুলো চুলের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর ফলে পরবর্তীতে মাথার ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
৫, কেমিক্যাল বেস শ্যাম্পু – বাজারজুড়ে ছেয়ে আছে, নানা ধরনের কেমিক্যাল বেস শ্যাম্পু। বেশিরভাগ শ্যাম্পুতে গুণাবলি থাকে না। শুধুমাত্র মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডের প্রচারের দৌলতেই এই শ্যাম্পুগুলো বিক্রি হয়। আর ক্রেতারা বেছে বেছে এই শ্যাম্পুগুলোই কিনে নিয়ে যান। এগুলো ব্যবহার করে অল্প বয়সের চুল পড়া, চুলে টাক ধরা, চুল সাদা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা বেড়ে যায়।
তাই চেষ্টা করুন আজ থেকেই এই পাঁচটি কাজ বন্ধ করার। যদি একান্তই আপনাদের হেয়ার স্টাইল করতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনারা প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিন। যেমন ,এলোভেরা জেল, ডিমের কুসুম, নারকেল তেল এগুলো দিয়ে চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। যেমন নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, নারকেল তেল চুলে দিলে, চুলের রুক্ষতা ও খসখসে ভাব দূর হয়। অন্যদিকে, রোজ শ্যাম্পু করার আগে যদি ডিমের কুসুম দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে চুলের সিল্কি ভাব বেড়ে যায়। আর যদি চুলে স্পাইক কিংবা অন্য কোনও স্টাইল করতে চান সেক্ষেত্রে এলোভেরা জেলই উত্তম। এই উপাদানগুলো বাজারচলতি অন্যান্য উপাদানগুলোর মতন ক্ষতিকারক নয়।
Leave a Reply