কিডনিতে বাসা বাঁধেনি তো ক্যান্সার? বাড়ি বসেই ৩ টি ধাপে বুঝে নিন আপনি কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে
কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি!
আপনি কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত
কিনা বুঝবেন কীভাবে?
এবার ঘরে বসেই নিজে নিজে
পরীক্ষা করুন কিডনি ক্যন্সার!
সময় থাকতেই ধরে ফেলুন
প্রাণঘাতী জটিল রোগ
বাড়ি বসেই এই ৩ টি ধাপে
বুঝে নিন, আপনি কিডনি ক্যান্সারে
আক্রান্ত কি না
ক্যান্সার খুবই মারাত্মক একটি রোগ। সঠিক সময়ে এই রোগ ধরা না পড়লে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বজুড়ে সিংহভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ এই ক্যান্সার। আর এই ক্যান্সার যদি হয় কিডনিতে, তাহলে তো চিন্তার শেষ নেই! কিডনি শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ১টি অঙ্গ! এটি আমাদের শরীরে মূত্র তৈরি করা থেকে শুরু করে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনের মতন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে। কিডনি ছাড়া কেউ বাঁচতে পারবে না। কিডনিতে একবার ক্যান্সার থাবা বসালেই সব শেষ!
তবে কিডনি ক্যান্সার হলে ভয়ের কিছুই নেই। কিডনি ক্যানসার মানেই মৃত্যু নয়। কিডনি ক্যান্সার হলেই বাঁচার কোনও উপায় নেই, এই ধারণা ভুল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগটি নির্ণয় করা গেলে, সহজেই বেঁচে ফেরা যায়। এই রোগটি আপনার আছে কি না, তা যাচাই করে নিন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে। বিশেষ করে এই তিনটি প্রমাণ পেলেই আপনি পরিষ্কার বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে ক্যান্সার থাবা বসিয়েছে।
প্রথম ধাপ – আপনি কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত কিনা তার প্রথম প্রমাণ আপনি রাতের বেলা পেয়ে যাবেন। কিডনি ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যার উপসর্গ খুব সহজে চোখে পড়ে না। কিন্তু রাত হলে আপনি কিডনি ক্যান্সারের উপসর্গ দেখতে পাবেন। মধ্য রাতে সারা শরীরে ঘাম হলে বুঝবেন আপনার কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। রাতের বেলা শরীরজুড়ে ঘাম, কিডনি ক্যান্সারের প্রাথমিক একটি লক্ষণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন রাতের বেলা শরীরের সমস্ত কোষ ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর এই কারণে রাতের বেলায় কিডনির ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রচুর ঘাম হয়।
দ্বিতীয় ধাপ – আপনি কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত কিনা , সেটি আরো সহজে বুঝে যাবেন দ্বিতীয় ধাপে। এক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ওজন কমছে কিনা। কোনও কারণ ছাড়াই আচমকা শরীরের ওজন কমে যাওয়া কিডনি ক্যান্সারের মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি।
তৃতীয় ধাপ – কিডনি আমাদের শরীরের এমন একটি জায়গায় অবস্থান করে, যার ফলে কিডনির কোন রোগ হলে আমরা সহজে সেটা বুঝতে পারি না। অর্থাৎ কিডনিতে কোন সমস্যা দেখা দিলে, অনেকদিন পর আমরা সেই সমস্যা অনুভব করতে পারি। একইভাবে কিডনির ক্যান্সারও আমরা একটু দেরিতেই টের পাই। তবে এই তৃতীয় ধাপটি লক্ষ্য করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন আপনাদের কিডনি সুস্থ নাকি ক্যান্সারের মারণ থাবায় জর্জরিত। পেটের উভয় পাশে ব্যথা এবং পিঠ ফুলে যাওয়া। এই লক্ষণটি দেখলে দেরি করবেন না। অবশ্যই সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গ্রামগঞ্জের যেসমস্ত রোগীরা ডাক্তার দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন না তারা এভাবে কিডনি ক্যান্সার যাচাই করুন। যাদের বয়স ৩৫ বয়সের বেশি , তারাও এভাবে নিজে নিজে পরীক্ষা করুন। তছাড়া সম্ভব হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েও কিডনি পরিক্ষা করিয়ে নিন।
Leave a Reply