সত্যিই কি অনুষ্কা শর্মা মাঠে থাকলে বিরাট কোহলি হেরে যান? অনুষ্কা মাঠে থাকলে বিরাট হেরে যাবেন এই কথা কে প্রথম জানিয়েছেন?

সত্যিই কি অনুষ্কা শর্মা মাঠে থাকলে বিরাট কোহলি হেরে যান? অনুষ্কা মাঠে থাকলে বিরাট হেরে যাবেন এই কথা কে প্রথম জানিয়েছেন?

সত্যিই কি অনুষ্কা শর্মা মাঠে থাকলে
বিরাট কোহলি হেরে যান?

স্ত্রীর কারণেই কি বিশ্বকাপ
জিততে পারেননি কোহলি?

অনুষ্কা স্টেডিয়ামে থাকলে
বিরাট কোহলির জন্য অমঙ্গল!

কেন বারে বারে উঠে আসে
এই অভিযোগ?

অনুষ্কা মাঠে থাকলে বিরাট হেরে যাবেন
এই কথা কে প্রথম জানিয়েছেন?

একবার দুবার নয়, বিরাট কোহলি হারলে বার বার ক্রিকেট সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় আনুষ্কা শর্মাকে। সামাজিক মাধ্যম থেকে ক্রিকেট স্টেডিয়াম সর্বত্র কটাক্ষের শিকার হতে হয় বিরাট পত্নীকে। বিরাট আউট হওয়ায় মাত্রই বরাবর নিশানায় চলে আসেন তিনি। কিন্তু এই কথাটা কি আদৌ ঠিক? সত্যিই কি অনুষ্কা শর্মার কারণেই, বিরাট কোহলি আউট হয়ে যান! বিশিষ্টদের মতে, বিরাট কোহলি কোনও ম্যাচে জিতবে কি জিতবে তার সাথে অনুষ্কার কোনও যোগসূত্র নেই। বিরাটের হার জিত সবই তার হাতে। ভালো খেললে বিরাট অনায়াসে জিততে পারবে। আর খারাপ খেললে তার দায়ভারও সম্পূর্ন বিরাটের। বিরাটের ম্যাচ জেতা কিংবা না জেতার সঙ্গে জ্যোতিষ মতেও, অনুষ্কার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

অনুষ্কার বিরুদ্ধে এই জনরোষ সৃষ্টি হয় মানুষের আগ্রাসী মনোভাব থেকে। আমরা প্রত্যেকেই জানি, যে কোন খেলায় জয় এবং পরাজয় দুটোই একসঙ্গে অবস্থান করে। কেউ, ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা জয় কে ছিনিয়ে নেই আবার কারো ভাগ্যে পরাজয় জোটে। কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয় খেলায় হার-জিতের গ্রহণযোগ্যতাকে মানতে পারেন না। পছন্দের দল হেরে গেলেই কোনও না কোনও যুক্তি টেনে রাগ ঝাড়তে অন্যকে আঘাত করে বসেন।। যেমনটা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। বিরাট কোহলির কাছ থেকে তার অনুরাগীদের প্রত্যাশা অনেকটাই বেশি। আর যখনই বিরাট সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হন,,, তখনই বিরাটের উপর রাগ ঝাড়তেই নিশানায় চলে আসেন অনুষ্কা। বহুবার বিরাট এর ব্যর্থতার দায় স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার উপর চাপিয়েছেন নিন্দুকেরা। যেমন কেউ বলেছেন, “অনুষ্কা স্টেডিয়ামে মানেই ভারতের জেতার সম্ভবনা শূন্য।’ কেউ লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য সবথেকে খারাপ বিষয় হল অনুষ্কা শর্মা।’ আবার কারোর পরামর্শ, ‘অনুষ্কার বাড়িতেই থাকা উচিত।’ একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যবে থেকে এই মহিলা ক্রিকেট দেখা শুরু করেছেন, তখন থেকে ভারত আর ICC টুর্নামেন্ট জেতে না।’

তবে অনুষ্কাকে নিয়ে এমন ট্রোলের মাঝে, অনেকেই অনুষ্কাকে সমর্থন করে। বিশেষ করে অনুষ্কার অনুরাগীরা সর্বদাই নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়েছেন। উপযুক্ত লজিক এবং ব্যাখ্যা দিয়ে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করিয়েছেন। বেশ কিছু উগ্র ক্রিকেট ভক্তরাই প্রথমে, অনুষ্কাকে নিয়ে এই ধরনের কুরুচি করে মন্তব্য ছড়ান। এই বিষয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন বিরাট কোহলি। নেটিজেন এবং উগ্র ক্রিকেট প্রেমীদের এই ধরনের মন্তব্যে বিরাট এবং অনুষ্কা কে খুবই মর্মাহত করে।। বিশেষ করে অনুষ্কাকে আক্রমণ করতে গিয়ে, এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা বিরাট কোহলির পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। কারণ এই সমস্ত মন্তব্যগুলো বেশিরভাগই কুরুচিপূর্ণ এবং নারীবিদ্বেষী। এই কথা তিনি বহুবার জানিয়েছেন।

এখানেই উঠছে প্রশ্ন? খেলা মানে সৃষ্টি, খেলা মানে নতুনত্বের সন্ধান! সেই খেলায় কেউ হারলে কেন এত হিংসা, ঘৃণা ছড়ানো হয়? যারা প্রকৃত ক্রীড়া প্রেমী তারা কখনোই প্রিয় দল হেরে গেলে মন্তব্য করেন না। আসুন নিজেদের আদর্শ ক্রীড়া প্রেমী করে তুলি। বিরাট কোহলি হেরে গেলে এবার থেকে অনুষ্কাকে ট্রোল করা বন্ধ করি। মনে রাখবেন trolling একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি আপনার চারিত্রিক কাঠামোকে ধবংস করার পাশাপাশি , যাকে ট্রোল করছেন তিনিও ক্ষতিগ্রস্থ হন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *