“টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি, কাজ করবো কেন?” ফাঁস পুরকর্মীদের মারাত্মক কুকীর্তি!

“টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি, কাজ করবো কেন?” ফাঁস পুরকর্মীদের মারাত্মক কুকীর্তি!

‘টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি,
কাজ করবো কেন ?’

ফাঁস পুরকর্মীদের
মারাত্মক কুকীর্তি!

বিনা কাজেই, মাসে মাসে
বেতন গুনেছেন পুরকর্মীরা!

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে
বেরিয়ে এলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

দুর্নীতিতে জর্জরিত গোটা বাংলা! শিক্ষা থেকে পুর নিয়োগ, সমস্ত জায়গায় থাবা বসিয়েছে দুর্নীতি! সম্প্রতি পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় কড়াকড়ি চেকিং চালিয়েছে ইডি সিবিআই। এবার কাউকেই রেয়াত করেনি তদন্ত কমিটি। পুর নিয়োগ দুর্নীতির এ টু জেট জানতে মরিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা। এবার দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে, এমন সমস্ত পুরসভার হাজিরা খাতা এবং বায়োমেট্রিক মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আর এগুলো ইডির হাতে উঠে আসতেই বিপদ বেড়েছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির। সেই সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা শুনলে আপনারাও থ হয়ে যাবেন।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইডির সংস্থার দাবি, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে,,,,, টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে অগণিত প্রার্থী। এদের সঙ্গে কথা বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে এরা চাকরি কিনেছেন ঠিকই,,, কিন্তু এরা কেউই..নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি। আর এই কথা স্বীকার করেছে , টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া ওই সমস্ত পুর কর্মচারীরা। ইডির দাবি অনুযায়ী তারা নাকি বেশ গর্বের সঙ্গেই বলেছেন – “আমরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি, কাজ করবো কেন?” অর্থাৎ এখান থেকেই পরিষ্কার কোনরকম কাজকর্ম না করেই মাসের পর মাস অফিসে গিয়ে কেবল বেতন গুনেছেন এই কর্মচারীরা। একটি পৌরসভার আন্ডারে, পুর কর্মীদের যে সমস্ত কাজ থাকে, সে সমস্ত কাজে এদের কোন ভূমিকাই ছিল না, দাবি ইডি আধিকারিকদের।

পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে ইডির হাতে দশটি পুরসভার নামের পাশে লাল কালি পড়েছে –

ইডির দাবি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে দশটি পৌরসভা, সেগুলো হল –

কামারহাটি,
বর্ধমান,
নিউ ব্যারাকপুর,
ব্যারাকপুর,
পানিহাটি,
দমদম,
দক্ষিণ দমদম,
বিধান নগর,

এছাড়াও আরো দুটি পুরসভা রয়েছে।

এই পুরসভা গুলোর বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ, এখানকার পুর কর্মচারীরা টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনলেও কেউ নিয়মিত কাজে যাননি। অনেকেই নিয়মিত কাজে না গিয়েও ঠিক সময়ে একাউন্টে বেতন পেয়ে গিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে একে একে এই ধরনের বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে।

প্রসঙ্গত পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে, অয়ন শীল নামের একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তাকে গ্রেফতার করার পর একাধিক অজানা তথ্য উঠে এসেছিল। সেই সময় অয়ন শীল এর সূত্র ধরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি সিবিআই।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *