হুমা খান

বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান। হ্যাঁ ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে এই নামেই ডাকে। কারণ আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব সবার বিপদে-আপদে ভাইয়ের মতোই ঝাঁপিয়ে পড়েন সালমান। এখানেই বোধ হয় মিলেমিশে একাকার হয়ে যান পর্দার আর বাস্তবের টাইগার। বলিউডে এবং বলিউডের  এমন অনেক তারকা রয়েছেন যাঁদের কেরিয়ার শুরুই হয়েছিল সালমান খানের হাত ধরে। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া বলিউডের এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন উমা খান। আজ যাঁর হাঁড়ি চলছে শুধুমাত্র সালমান খানের দৌলতে। আদতে পাকিস্তানি এই অভিনেত্রীকে একসময় নতুন জীবন দিয়েছিলেন সালমান খান। তাই সালমান তাঁর কাছে ‘মাসিহা’।

এই হুমা খান আসলে কে জানেন? সালমান খান অভিনীত ১৮৮৯ সালের ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র গুলাবিয়াকে  মনে আছে? হ্যাঁ ইনি সেই অভিনেত্রী। এছাড়াও তাঁকে সালমান খানের আরও একটি সুপারহিট সিনেমা ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-তেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। হুমা খানের জন্ম এবং বড় হওয়া পাকিস্তানে। খুব ছোট থেকেই শিশু শিল্পী হিসেবে পাকিস্তানি সিনেমা  এবং টিভি শোতে  অভিনয় করেছেন তিনি।  কিন্তু হিন্দি সিনেমার প্রতি বরাবরই তাঁর ছিল এক আলাদাই আকর্ষণ। এরপর আশির দশকে নিজের ভাগ্য অন্বেষণে ভারতে চলে আসেন হুমা। তখন বলিউডের সুপারস্টার সালমান খানের সাথে বন্ধুত্ব হয় হুমার। সেই সূত্রেই সুরজ বরজাতিয়ার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন হুমা।

বোন আর স্বামীর বিস্বাসঘাতকতা:

তখনকার সময় দারুন সুন্দরী ছিলেন হুমা। সেই সুবাদেই নায়িকা হওয়ার সুযোগ  না পেলেও ছোটোখাটো বেশ কিছু চরিত্রে অভিনয়  করেছিলে হুমা। সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু আচমকাই  ছন্দপতন।  ১৯৯২ সালে নিজের ফিল্মি কেরিয়ারকে বিদায় জানিয়ে এক প্রতিবেশী যুবকের সাথে বিয়ে করে নেন হুমা। কিন্তু যে স্বামীর সংসারে মন দেওয়ার জন্য হুমা অভিনয় ছেড়েছিলেন। সেই তার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে। তবে পিছন থেকে ছুরি মেরে সবচেয়ে বড় আঘাতটা দিয়েছিল হুমার বোন নাইমা। এই নাইমাও পাকিস্তানের একজন নামি অভিনেত্রী। হুমার স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেছিলেন তারই বোন নাইমাকে। এখানেই শেষ নয় হুমা অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী এবং বোন দুজনেই  তার জীবনের সমস্ত সঞ্চয় চুরি করে তাকে নিঃস্ব করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে গিয়েছিল।

সালমান খান কেন মাসীহা হুমার কাছে?

কয়েক বছর আগে ভাইরাল বলিউডের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, হুমা জানিয়েছিলেন ওই পরিস্থিতিতে তিনি নাকি দু’দুবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। পুরনো বন্ধু সালমান খানের জন্যই নাকি আজ তিনি বেঁচে আছেন। সালমান তাঁকে  আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কাজও দিয়েছিলেন। সাবেক এই অভিনেত্রী এখন  লাইমলাইট থেকে দূরে মুম্বাইতেই থাকেন।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *