বিশ্বকাপ ফাইনাল

কুড়ি বছর পরেও হলো না  শাপমোচন! ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ভারতীয়দের জন্য অধরাই থেকে গেল সোনালী কাপ জয়ের স্বপ্ন।  আরও একবার ঘরের মাঠেই চোখের সামনে দিয়েই ওয়ার্ল্ড কাপ ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কেন অপ্রতিরোধ্য  সেটা বোঝা গেল আরও একবার। তাই স্বপ্ন পূরণের জন্য ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে  অপেক্ষা করতে হবে আরো ৪ বছর। কিন্তু টানা ১০ টা ম্যাচ  অপরাজিত থেকেও কেন কাপ অধরা ভারতের? শুধু কি অস্ট্রেলিয়ার দাপট নাকি টিম ইন্ডিয়ার গাফিলতি? আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের চুল সেরা বিশ্লেষণে উঠে আসা এমনই ছ’টি কারণ।

১) অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস: ঘরের মাঠে ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনাল হারার পর অনেকেই বলছেন পরপর ১০ টি ম্যাচ জিতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এসে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। তাই ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া যে অন্য জিনিস সেটা মাথায় রেখেই ভারতের আরও বেশি আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল।

২) টস না জেতা: শুরুতে বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, টসে জিতে ব্যাট করা উচিত। একই মত ছিল টিম ইন্ডিয়ার। তাই টস জিতেও প্যাট কামিন্স বোলিং নেওয়ায় লাগিয়ে উঠেছিল গোটা গ্যালারি। কিন্তু দিনের শেষে পরিচয় পাওয়া গেল প্যাট কমিন্সের ক্ষুরধার বুদ্ধির। কারণ ভারত ব্যাট করার সময় পিচ প্রচণ্ড শুকনো ছিল, যার ফলে বল দেরিতে ব্যাটে আসছিল তাই রান উঠছিল, তবে সন্ধ্যার পর শিশির পড়তেই খেলা ঘুরিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।

৩) ব্যাটিংয়ে প্ল্যান বি: ফাইনালের আগের ম্যাচ গুলোতে দেখা গিয়েছে একজন ধরে খেলছিলেন, আর একজন আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু ফাইনালে ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে কোনো ‘প্ল্যান বি’ চোখে পড়েনি। তাই রোহিত,কোহলি এবং রাহুল আউট হতেই ম্যাচ হাত থেকে বেরোতে শুরু করে।

৪) অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিং:  শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে অস্ট্রেলিয়া। অতিরিক্ত  ১২ রান দিয়েছে তারা। এদিন অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিংয়ে খুব কম করে হলেও ৪০- ৪৫ রান বাঁচিয়েছে। শামি এদিন অনেক বাইরে বল করেছেন যা রাহুলের হাত ফসকে গিয়েছে বহুবার। যার ফলে আরও রানের ব্যবধান কমতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার।

৫) ভারতের ঝিমিয়ে পড়া বোলিং:  প্রথম ৭ ওভারের পর থেকেই ভারতের বোলিংয়ের ধার কমে যায়। ৭ ওভার, ৪৭ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৩টি উইকেট ফেলার পর যেন ঝিমিয়ে পড়েন ভারতীয় বোলাররা। যদিও এর সব দায় ভারতীয় বোলারদের নয়, পরিবেশও দায়ী অনেকাংশে।

৬) রবিচন্দ্রন অশ্বিন: বিশ্বকাপে ফাইনালে অনেকেই মিস করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। প্রশ্ন উঠেছে অশ্বিনকে কেন বসিয়ে রাখা হয়েছে? বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচেও সুযোগ পাননি তিনি। শুরু থেকে প্রশ্নের মুখে ছিল জাদেজার ফর্ম। অনেকের অভিযোগ ফর্মে ছিলেন না মহম্মদ সিরাজ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *