বলিউড অভিনেত্রী টাবুকে তো সবাই চেনেন! কিন্তু খুব মানুষই আছেন যাঁরা তাঁর দিদি ফারহা নাজকে চেনেন। সৌন্দর্য্যে টাবুর থেকে কোনো অংশে কম নন তিনি। একসময় তিনিও বলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে ৭৫টিরও বেশি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। শিকার, হালচাল,ভাগ্যবিধাতা,এবং ফৌজির মত একাধিক সিনেমায় তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে সিনেমা প্রেমীদের। একসময় বিশ্বের বিখ্যাত কুস্তিগীর তথা অভিনেতা দারা সিং এর ছেলে বিন্দু দারা সিং-এর সাথে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তবে ভালোবেসে বিয়ে করলেও তাঁদের সংসার সুখের হয়নি। পরে যদিও তাঁরা দুজনেই নিজের জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন এবং নতুন করে সংসার পেতেছেন।
টাবুর দিদি ফারাহর সাথে দারা বিন্দু সিংয়ের প্রথম দেখা হয় নব্বইয়ের দশকে সিনেমার শুটিং ফ্লোরে। সেটাই ছিল ফারাহর প্রথম সিনেমা।প্রথম দেখাতেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরী হয়। যা ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণতি পায়। দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর ১৯৯৬ সালে, তাঁরা একে অপরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের মাত্র এক বছর পর তাদের এক ফুটফুটে ছেলের জন্ম হয়। তার নাম ফতেহ। বলিপাড়ায় কানাঘুঁষো শোনা যায় ফারাহ বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট ছিলেন। এই কারণেই নাকি দারা বিন্দু সিং তড়িঘড়ি বিয়ে করে নিয়েছিলেন ফারাহকে।
কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। বিয়ের কয়েক বছর যেতেই ঝগড়া শুরু হয় হয় তাঁদের। সম্পর্কে তিক্ততা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তাঁরা দুজনেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাই বিয়ের ৬ বছর পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর এক সাক্ষাৎকারে বিন্দু দারা সিং বলেছিলেন, ‘জীবন খুব ছোট। তাই জীবনটাকে উপভোগ করা উচিত। আমি ফারাহকে আগেই বলে দিয়েছিলাম তুমি যদি আমাকে ১৫ দিন একা রেখে যাও তাহলে আমি অন্য কাউকে দেখতে শুরু করব। এখন ৬ মাস হয়ে গিয়েছে তাই আমার কাছে এখন লাইসেন্স আছে।’
তাই ফারাহর সাথে ডিভোর্সের পরেই ২০০৫ সালে বিন্দু দারা সিং ডায়ানা উমারোভাকে বিয়ে করেন। ডায়ানা একজন মডেল এবং ব্যবসায়ী। ২০০৯ সালে তাদের একটি মেয়ে হয়। তার নাম অ্যামেলিয়া রনধাওয়া। প্রসঙ্গত বিন্দু দারা সিং বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন ১৯৯৪ সালের ‘করণ’ সিনেমার হাত ধরে। পরে আরও একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু সাফল্য ধরা দেয়নি সেখানেও। এখনও যদিও ছোটখাটো কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। বিন্দু দারা সিং তাঁর অভিনয় জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন বিতর্কে জড়িয়েছেন বহুবার। অন্যদিকে টাবুর দিদি ফারাহও ২০০৩ সালেই বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সুমিত সেইগালকে।
Leave a Reply