হেডঃ- নিয়োগ দুর্নীতির মাষ্টারমাইন্ড কে? অযোগ্যদের চাকরির পেছনে কার হাত ছিল? উত্তর জানিয়ে দিল সিবিআই, শোরগোল রাজ্যজুড়ে

নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট সাফল্য! আসল মাষ্টারমাইন্ড কে ? চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলো সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট সাফল্য
পেল সি.বি.আই!

নিয়োগ দুর্নীতির আসল
মাষ্টারমাইন্ড কে?

কাদের দৌলতে রমরমিয়ে চলত
চাকরির কেনা বেচা?

একে একে বেরিয়ে এলো
চাঞ্চল্যকর নাম

দুর্নীতির জোয়ারে ভাসছে গোটা বাংলা! পশ্চিম বাংলার শিক্ষা থেকে রেশন সবেতেই থাবা বসিয়েছে দুর্নীতি! বিগত ১ বছর ধরেই নানান দুর্নীতির মুখোশ খুলে চলেছেন ইডি আধিকারিকেরা। তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নিয়োগ দুর্নীতি। এবার এই নিয়োগ দুর্নীতিতে বড়সর সাফল্য পেল তদন্ত কমিটি। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ২০২২ সালে পার্থ, অর্পিতার সূত্র ধরেই প্রথমবার নিয়োগ দুর্নীতির কথা জনসমক্ষে আসে। এরপর সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে আরো একাধিক তথ্য। একের পর এক আটক হতে থাকেন আরও অনেকেই। জমা হতে শুরু করে মামলার পাহাড়! এবার এই মামলার বিশাল কিনারা পাওয়া গেল। অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার পেছনে কে বা কারা দায়ী , নাম জানতে পেরেছে সিবিআই। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে আটক করা হয়েছে, বসু রায় এন্ড কোম্পানির নামক এক সংস্থার দুই কর্তা পার্থ সেন এবং কৌশিক মাঝিকে। গত শুক্রবার এই দুজনের জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্ত আধিকারিকেরা। সেখানেই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে নিয়ে আসেন দায়িত্বরত তদন্ত আধিকারিকেরা। এই বিস্ফোরক তথ্য গুলো কি একে একে দেখুন, তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড আসলে কে বা কারা –

এক, এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির ভূমিকা

এই কোম্পানিটি মূলত ওএমআর শিট প্রস্তুত করত। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে বারে বারে উঠে এসেছে এই কোম্পানির নাম। আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ মোটা অংকের বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় যতেষ্ট ভূমিকা রয়েছে কোম্পানিটির। এই কোম্পানির কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে দাবি করছেন তদন্ত আধিকারিকেরা।

২, * মোট অংকের বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া*

শুক্রবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে,, পার্থ এবং কৌশিক নামের ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে,, মারাত্মক অভিযোগ আনেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুজনের কাছে ওএমআর সিট মূল্যায়নের দায়িত্ব পড়লে, তারা এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানির কাছ থেকে মোটা অংকের বিনিময়ে অযোগ্যদের নাম্বার বাড়িয়ে দিত। অর্থাৎ যারা ওএমআর সিটে কম নাম্বার পেতেন, টাকার বিনিময়ে তাদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হত। আর এই সম্পূর্ণ কারচুপিতে, হাত মেলাতেন, কৌশিক মাঝি ও পার্থ সেনের মত আরো অনেকেই।

৩, নিয়োগ দুর্নীতি চালাতে ভুয়ো ওয়েবসাইট

আদালতে সিবিআই আধিকারিকেরা আরও জানান, নিয়োগ দুর্নীতি চালাতে অসংখ্য ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। ইডির দাবিতে উঠে আসে, ৭০০ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকার আদান-প্রদান করতে একসঙ্গে দুটি মেইল আইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। আদালতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়ার চার্জশিট থেকে জানা যায়, এই ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ও দুটো মেইল আইডি ব্যবহার করে দিনের পর দিন চলেছিল এই সমস্ত অনৈতিক কাজ।

৪, নিয়োগ দুর্নীতিতে মুম্বাইয়ের এক সংস্থা –

বাংলার নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিল মুম্বাইয়ের এক সংস্থা, দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে নেমে এমনই বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সময় যতই এগোচ্ছে,, নিয়োগ দুর্নীতির মামলা যত গভীরে যাচ্ছে,,, ততই একের পর এক উঠে আসছে নতুন নতুন হদিশ। এখন দেখার অপেক্ষা আর কি কি নতুন তথ্য উঠে আসে ইডির জালে……..


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *