রতন টাটা

রতন টাটাকে কে না চেনেন! আমাদের দেশের তো বটেই গোটা বিশ্বের তরুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণের আরেক নাম তিনি। এত বড় মাপের একজন মানুষ হয়েও তিনি নিজের উপার্জনের অধিকাংশই ব্যয় করেন মানুষের সেবায়। ৮৫ বছর বয়সী এই বর্ষিয়ান শিল্পপতি শিল্পপতি আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ শিখিয়েছে যা আমাদেরকে আরো ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে। তবে রতন টাটা সম্পর্কে তো সবাই জানেন! কিন্তু তাঁর পরিবারে আরও অনেক সদস্য আছেন যাদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন না কেউই। আসুন জানা যাক রতন টাটার পরিবারের সদস্যরা এখন কে কি করেন?

সাইমন নেভাল টাটা-ইনি হলেন নেভাল টাটার দ্বিতীয় স্ত্রী। অর্থাৎ রতন টাটার সৎ মা। রতন টাটার নিজের মায়ের নাম সুনি টাটা। ১৯৫৫ সালে নেভাল টাটা সাইমনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে রতন টাটার সাথে তাঁর সৎ মায়ের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সাইমন ১৯৬১ সালে ল্যাকমে লিমিটেডের বোর্ডে যোগদান করে এবং ১৯৬৪ সালে এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।এখানেই শেষ নয়, ১৯৮২ সালে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ট্রেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

জিমি টাটা- রতন টাটার আপন ছোট ভাই হয়েও অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন করেন তিনি। লাইম লাইট থেকে বরাবরই দূরেই থাকেন তিনি। মুম্বাইয়ের কোলাবায় একটি 2 BHK ফ্ল্যাটে থাকেন জিমি টাটা। তবে রতন টাটার মত জিমি টাটাও বিয়ে করেননি।

নোয়েল টাটা- ইনি হলেন রতন টাটার সৎ ভাই। অর্থাৎ নেভাল টাটা এবং সাইমন টাটার ছেলে তিনি। আইরিশ নাগরিকত্ব সহ তিনি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি বিদেশে থাকেন। নোয়েল টাটার তিন সন্তান লিয়া টাটা, নেভিল টাটা এবং মায়া টাটা। বিগত ১১ বছর ধরে তিনি টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

মায়া টাটা- নোয়েল টাটার ছোট মেয়ে মায়া টাটা ডিজিটালে কাজ করেন। তিনি আগে টাটা অপরচুনিটি ফান্ডে কাজ করেছেন, সেখানে দুর্দান্ত কাজ এবং পোর্টফোলিও পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

নেভিল টাটা- নোয়েল টাটা এবং আলো মিস্ত্রির ছেলে হলেন নেভিল টাটা। তিনি টাটা গোষ্ঠীর রিটেইল সংস্থা ট্রেন্টের সাথে কাজ করেন। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন তাঁর ঠাকুমা সাইমন টাটা। নেভিল ট্রেন্টে হাইপারলোকাল ফুড পরিচালনা করার পাশাপাশি, ওয়েস্টসাইড, স্টার বাজার এবং ল্যান্ডমার্ক স্টোরের অপারেটর তিনি।

লিয়া টাটা – নোয়েল টাটার বড় মেয়ে লিয়া। স্পেনের বিজনেস স্কুল থেকে পড়াশোনা করে মাদ্রিদে বিজনেস স্কুলে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০১০ সালে বিখ্যাত ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিত্নয় তিন মাসের ইন্টারসিপ করেছিলেন লিয়া। গত ১০ বছর ধরে তিনি ভারতের হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি তাজ গ্রুপ অব হোটেলের অপারেটর ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানির সাথে কাজ করছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *