বউয়ের জন্মদিন ভুলে গেলেই পাঁচ বছরের জেল! টানতে হবে জেলের ঘানি, খেতে হবে জেলের ভাত
বউয়ের জন্মদিন ভুলে গেলেই
পাঁচ বছরের জেল!
টানতে হবে জেলের ঘানি,
খেতে হবে জেলের ভাত!
এই ১টি দেশেই রয়েছে এমন আজব নিয়ম!
এখানকার পুরুষদের দিন কাটে আতঙ্কে!
কোন দেশে রয়েছে এমন আজব নিয়ম?
কি নাম দেশটির?
স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে, বড়জোর স্ত্রী রাগ করতে পারে! স্বামীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করতে পারেন!! সাধারণত এটাই হয়ে থাকে। কিন্তু এমনটা শুনেছেন কখনও স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়ার কারণে স্বামীকে জেল খাটতে হয়েছে! জেলার ভাতও খেতে হয়েছে! তাও আবার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই!! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনটাই হয় বিশ্বের এই দেশটিতে। যেখানে স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়াটাই মহাপাপ। স্বামীর জীবনে যতই চাপ থাকুক না কেন, কোনও ভাবেই স্ত্রীর জন্মদিন ভুলতে পারেন না এই দেশের স্বামীরা। এখানকার স্বামীদের কাছে স্ত্রীর জন্মদিনটা অনেক বড় আতঙ্ক। স্ত্রীর জন্মদিন মনে রাখাটা তাদের কাছে বাধ্যতামূলক। আজব এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির নাম সামোয়া।
এখানকার আইন অনুযায়ী, স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়াটা স্বামীর অনেক বড় অপরাধ। যদি কোনো স্বামী ভুল করে ফেলেন তাহলে তাকে আইন মেনে দন্ড দেওয়া হয়। আর দন্ড দেন খোদ স্ত্রী। স্ত্রী যদি স্বামীর বিরুদ্ধে একবার থানায় অভিযোগ করেন, তাহলে সাথে সাথে কারাগারে বন্দি করা হয় স্বামীকে। তবে এই বিপদ থেকে স্বামীদের বাঁচার একটি রাস্তাও রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বামীদের প্রায়শ্চিত্তের একটি সুযোগ দেওয়া হয়। এই সুযোগটিতে স্বামীরা যদি স্ত্রীকে মনের মতন সারপ্রাইজ দিতে পারেন তাহলেই জেল থেকে মুক্তি। আর যদি ব্যর্থ হন তাহলেই মুশকিল। জেলখানাই হবে স্বামীদের শেষ ঠিকানা!
সূত্রের খবর, এই আইনের দেখভাল করার জন্য একাধিক পুলিশ কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। খাতায় কলমে আইনটির কড়াকড়িও লিপিবদ্ধ রয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি স্বরূপ টানা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। দেশটির স্বামীরা যাতে এই বিপদ থেকে সাবধান থাকে, তাই তাদেরকে বারবার সচেতনও করা হয়।
Leave a Reply