প্রত্যেক পুরুষ রাতের বেলা ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন! খুব সাবধান, নষ্ট হচ্ছে বাবা হওয়ার ক্ষমতা
প্রত্যেক পুরুষ রাতের বেলা ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন!! খুব সাবধান!! নইলেই সর্বনাশ!! ভুলেও চালু রাখবেন না ওয়াই বক্স!! ছেলেরা ওয়াই ফাই অন করে ঘুমোলে কি কি হয় জানেন? নষ্ট হয়ে যায় বাবা হওয়ার ক্ষমতা!! শরীরে ঢোকে ৫টি বিষাক্ত রোগের জীবাণু!! কি সেই রোগ?! রাতের বেলা কিভাবে চালাবেন ওয়াই ফাই? কি কি করলে ওয়াই ফাইয়ের ছোবল থেকে রক্ষা পাবে পুরুষেরা?? ,,,,,,,,,,,,,,,,,,..আজকাল প্রতিটি বাড়িতেই ওয়াই ফাই ব্যাবস্থা রয়েছে। আনলিমিটেড হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য বেশির ভাগ মানুষের শেষ ভরসা এখন ওয়াই ফাই। অফিসের কাজ হোক বা রাত জেগে সিনেমা দেখা, ২৪ ঘণ্টা দিন রাত ওয়াই ফাই চালু রাখা হয়। আর এভাবেই মারাত্মক বিপদের মুখে পড়ছেন পুরুষেরা। ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে ওয়াই ফাই চালিয়ে ৫টি ভয়ংকর রোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিটি পুরুষ। এক নজরে দেখুন ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে পুরুষের দেহে বাসা বাধা ৫টি মারাত্মক রোগ –
১, বাবা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট – ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি ওয়াইফাই। এটি যতই জনপ্রিয় এবং কার্যকরী হোক না কেন,,, এর অপকারিতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ওয়াইফাই থেকে প্রত্যেকটা মুহূর্তে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বেরিয়ে আসতে থাকে। এটি পুরুষ মানুষের বাবা হওয়ার ক্ষমতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে পুরুষ মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি ৯০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। যে সব পুরুষেরা দীর্ঘদিন ধরে বেডরুমে ২৪ ঘন্টা ওয়াইফাই চালিয়ে রাখছেন,, তাদের শরীরে বাবা হওয়ার যে সমস্ত উপাদান রয়েছে সেগুলোর ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। পুরুষের ডিএনতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
২, অন্ড কোষে ক্যান্সার – শুনতে অবাক লাগলেও,, ওয়াইফাইয়ের কারণে পুরুষ দেহের অন্ডকোষে ক্যান্সার পর্যন্ত হচ্ছে। ওয়াইফাই থেকে বেরিয়ে আসা বিভিন্ন ক্ষতিকারক বিকিরণ এর জন্য দায়ী।
৩, হার্ট এ্যাটাক – ওয়াইফাই থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশন হার্টের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যে সমস্ত কর্মরত পুরুষেরা কাজের সুত্রে সারাদিন ওয়াইফাই জোনের মধ্যে থাকেন, তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা অন্যদের থেকেও সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
৪, নার্ভের সমস্যা – আজকাল ঘরে ঘরে বাড়ছে নার্ভের রোগী। ওয়াইফাই নার্ভের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। এক্ষেত্রে পুরুষদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়। আসলে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে নারীরা যতটা না আক্রান্ত হন তার থেকে বেশি আক্রান্ত হন পুরুষেরা। কারণ নারীরা রোগ প্রতরোধের দিক থেকে অনেক বেশি সক্রিয়, পুরুষের তুলনায়।
৫, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য – ওয়াইফাই এর কারণে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য পর্যন্ত বেড়ে যায়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যেসব পুরুষ দিনের ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ওয়াইফাই এর মধ্যে কাটান, তাদের মধ্যে অনিদ্রা, খিটখিটে স্বভাব অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তাদের বিছানায়। তারা রাতের বেলায় স্ত্রীকে সুখী করতে পারেন না। সবসমস স্ট্রেসের মধ্যে থাকেন।
তবে নিরাশ হবেন না। এই সমস্যাগুলো কাটাতে এই করণীয় গুলো মেনে চলুন –
১, যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন রাতের বেলা ওয়াইফাই বন্ধ করে দিতে।
২, কাজ না থাকলে ওয়াইফাই চালানোর কোন দরকার নেই।
৩, চেষ্টা করুন বেডরুম থেকে ওয়াইফাই দূরে রাখার।
৪, ওয়াইফাই রাউটারের সিগন্যাল লেভেল সব সময় কমিয়ে রাখুন।
এগুলো অনুসরণ করলেই অনেক বড় বড় রোগের হাত থেকে বেঁচে যাবে প্রতিটি পুরুষ।
Leave a Reply