মানুষ ছাড়াও আমাদের পৃথিবীতে অন্যান্য বহু প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে। পশু পাখি থেকে শুরু করে বৈচিত্র্যে ভরা এই জীবজগতে রয়েছে আরও একাধিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পশু পাখি। তাদের মধ্যে কেউ জলচর তো কেউ আবার উভচর প্রাণী। তবে জীবজগতের প্রত্যেকটি প্রাণীরই রয়েছে নিজস্ব কিছু গুণাবলী। তাই পশুপাখিরা যেমন গহীন অরণ্যেও থাকতে পারে তেমনি অনেক প্রাণী রয়েছেন যারা থাকেন মহাকাশে। তবে অনেকেই জানতে চান মানুষের কোন বৈশিষ্ট্য তাকে অন্যান্য প্রাণী থেকে তাকে আলাদা করেছে?
বলা হয় যাঁর মধ্যে মান আর হুঁশ আছে সেই মানুষ। তাই মনুষ্যত্বই হল মানুষের স্বতন্ত্র স্বাভাবিক গুণ। তেমনি পশু পাখির মধ্যে থাকা পশুত্বই তাদেরকে মানুষের থেকে আলাদা করে। তাই মানুষের মধ্যে যেমন লজ্জা-ঘৃণা, মায়া-মমতার মতো অনুভূতি কাজ করে তা পশুদের মধ্যে থাকে না। যদিও অধিকাংশ পশুদের মধ্যেই কাজ করে মাতৃত্ব। তাই তারা নিজের সন্তানদের সবসময় আগলে রাখে।
পরিবেশে টিকে থাকা:
কিছু কিছু প্রাণী খুবই নিরীহ হয়। মানুষের মত এরাও নিজের পরিবারের সাথে বাস করে আর সন্তান লালন পালন করে। এখানে উদাহরণ স্বরূপ কুমিরের কথা বলা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক কুমিররা জলের মধ্যেই বাচ্চা কুমিরকে ট্রেনিং দিয়ে আক্রমনে দক্ষ এবং অনেক শক্তিশালী করে তোলে। যাতে তারা নিজেদের আত্মরক্ষার পাশাপাশি টিকে থাকার লড়াইয়ে যেন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারে। ঠিক এভাবেই মানুষও জীবনের যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে।
জীবনের অস্তিত্ব:
মানুষ হোক বা অন্য কোনো প্রানী ভবিষ্যৎ আমাদের সবারই অনিশ্চিত। তাই ভবিয্যৎ শুধুই অনুমান করা যায়। এমন সেন্স মানুষের মতো অন্য প্রানীদের মধ্যেও কাজ করে। তবে মানুষ সামাজিক জীব তাই বিপদে তারা একে অপরকে সাহায্য করতে পারে।
পশুপাখি:
শিকার করার প্রবনতা আর টিকে থাকার লড়াইয়ে বেঁচে থাকার জন্যই বহু হিংস্র প্রাণীই একে অপরকে শিকার করে খায়। তবে মানুষ শুধু অন্য প্রাণীকেই খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।
কথা বলার ক্ষমতা:
মানুষ কথা বলতে পারলেও অন্য প্রানীরা কথা বলতে পারে না। তবে মানুষ পশুপাখিদের ভাষা না বুঝলেও একই প্রজাতির বিভিন্ন প্রানী একে অপরের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। কিছু পাখি কথা বলতে পারলেও তারা মানুষের মত নিজেদের বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু বলতে পারে না।
সম্মান এবং সৌন্দর্য:
মানুষের সৌন্দর্য অন্য প্রানীর চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। মানুষের সমাজে নিজস্ব নাম-যশ থাকে। তবে প্রানীদের তা থাকে না।
Leave a Reply