২৮৬  রানের রেকর্ড

এক বলে নাকি ২৮৬ রান! ভাবা যায়? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এমন বিরল ঘটনা শুনলে হেসেই উড়িয়ে দেন অনেকে। নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ৬, তার নীচে চার। ওভার বাউন্ডারি হলে আসে ৬ রান।  তবে সেক্ষেত্রে বল মাঠে একবারও ড্রপ করা চলবে না। আর বল যদি মাঠে ড্রপ খেয়ে বাউন্ডারির বাইরে যায় তাহলে মিলবে ৪  রান। এছাড়াও আরও একভাবে রান নেওয়া যায়। ক্রিকেটের ভাষায় যাকে বলে ‘সিঙ্গেলস’। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটে বলে সংযোগ হলেই  এই পদ্ধতিতে রান নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রানের নিয়ম নেই তাই ব্যাটাররা যতবার দৌড়াতে পারেন রান ততোবারই পাওয়া যায়।

কিন্তু  ছুটে ছুটে তিন বা চারের বেশি  রান নিতে পারেন না ব্যাটাররা। যদিও এই রেকর্ড ভেঙেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।  এক বলে ৮ রান নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্লাবের ব্যাটাররা  ১৯২২ সালের একটি ম্যাচে দৌড়ে নিয়েছিলেন ১৭ রান। যদিও এরমধ্যে কোনোটাই কিন্তু এক বলে সবচেয়ে বেশি রান নেওয়ার রেকর্ড নয়। ক্রিকেট ইতিহাস বলছে এক বলে সর্বোচ্চ ২৮৬  রান নেওয়ার রেকর্ড তৈরী হয়েছিল ১৮৯৪ সালের ১৫ ই জানুয়ারি।

ব্রিটেনের পত্রিকা ‘পল মল গেজেট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী সেদিন খেলার আসর বসেছিল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায়। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভিক্টোরিয়া একাদশ এবং স্ক্র্যাচ একাদশের ব্যাটাররা। আর এই রেকর্ড গড়েছিলেন স্ক্র্যাচ একাদশের ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ান লিগের ওই ম্যাচে প্রথমেই বল করতে নেমেছিল ভিক্টোরিয়া একাদশ।

প্রথম বলেই স্ক্র্যাচ একাদশের এক ব্যাটার বল মেরে মাঠের ভিতরে থাকা একটি গাছে উঠিয়ে দেয়। তখন বিপক্ষের ফিল্ডাররা বল আনতে গেলে দৌড়ে রান নিতে শুরু করেন স্ক্র্যাচ একাদশের দুই ব্যাটার। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বল কিছুতেই নামানো যাচ্ছে না। তখন উপায় না বুঝে ফিল্ডাররা বল হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনেন।

সাধারণত ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী এক্ষেত্রে দৌড়ে রান নেওয়া যায় না। কিন্তু সেদিনের এই বল হারানোর অভিযোগ ধোপে টেকেনি। কারণ বলটি উঁচুতে থাকলেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বল পাড়তে গাছ কাটার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা সেখানেও। কারণ তখন আবার কুড়ুল পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে সেই সুযোগে স্ক্র্যাচ-এর ব্যাটাররা দৌড়েই নিয়ে ফেলেছেন ২৮৬ রান। যা দেখে স্বেচ্ছায় হার মেনে নিয়েছিল ভিক্টোরিয়া একাদশ। কিন্তু ওই প্রতিবেদন ছাড়া এর কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। তাই অনেকেই এই ঘটনা শুনে হেসেই উড়িয়ে দেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *