রোজ পাতে রাখুন এই দুটি দানা! এক চামচ করে খেলেই সারা জীবনেও দেহে কোনও রোগ আসবে না

রোজ পাতে রাখুন এই দুটি দানা! এক চামচ করে খেলেই সারা জীবনেও দেহে কোনও রোগ হবে না

রোজ পাতে রাখুন এই দুটি দানা!! নিয়ম মেনে টানা ২১ দিন খাবেন!! দেহের মধ্যে কিছু অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখবেন!! আপনার দেহের সমস্ত রোগ, ব্যাধিকে দূর করে দিতে পারে এই দুটি দানা!! পৃথিবীর সবথেকে উপকারী এই দুটি দানা!! এক চামচ করে খেলেই সারা জীবনেও দেহে কোন রোগ হবে না!! এই দুটি দানা হয়তো আমাদের আশেপাশেই আছে। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না!! ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, বাতের ব্যথা থেকে নার্ভের সমস্যা সমস্ত কিছু দূর করতে পারে এই দুটি দানা!! সর্ব রোগের মহা ঔষধ!! এই দানা দুটির নাম কি কি? কোন কোন রোগ সারাবে? তা জানতে পারবেন এই ভিডিওটির মাধ্যমে। সম্পূর্ন ভিডিওটি দেখুন অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানতে পারবেন। ডাক্তারের পিছনে একটি টাকাও খরচ করতে হবে না।

যে দানা দুটির কথা বলব তার মধ্যে প্রথম দানাটি হল কালো জিরে। ঔষধি গুনসম্পন্ন কালোজিরের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জি, এগজিমা সবকিছু দূর করতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে থাইমোকুইনিন, নাইজেলেডিন ও আলফা হেডারিন নামক বায়ো একটিভ যৌগ। এছাড়াও উপকারী কালোজিরাতে আরো রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, সোডিয়াম, আয়রন , প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কালোজিরায় থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বড় বড় রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে লিভার ভালো থাকে। আজকাল ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নিয়মিত কালোজিরা সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন যদি কালোজিরা এবং তার সঙ্গে যে বিশেষ দানাটির কথা বলব,,, সেই দুটো মিশিয়ে খেতে পারেন,,,,,,তাহলে কখনোই আপনার ডায়াবেটিস হবে না। আর যদি হয়েও থাকে তাহলে কন্ট্রোলে থাকবে। ক্যান্সার রোগীদের জন্য কালোজিরা খুবই উপকারী। কালোজিরা ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম। কালোজিরা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রবকে নিমেষে ধবংস করে। কালোজিরাতে প্রচুর মাত্রায় এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে। এটি সর্দি হলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে দূর করে। কালোজিরার তেল ইনহেলেশন এলার্জির ক্ষেত্রেও কাজে দেয়। কালোজিরা বাটা ত্বকে লাগালে মেছতা, ব্রণ দূর হয়ে যায়। কালোজিরার তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেলে, যাবতীয় ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

কালোজিরার সাথে এবার যে দানাটির কথা বলব, এটি অনন্য উপকারী একটি দানা। আর সেটি হচ্ছে সাদা তিল। অনেকেই হয়তো এই সাদা তিল চিনে থাকবেন আবার অনেকে চিনতে নাই পারেন। ছোটবেলায় আমরা অনেকেই তিলের খাজা হিসেবে এই সাদা তিল খেতাম। বেশ মজা লাগত। এটিই হল সাদা তিল। অনেক সময় ফুড গার্নিশিং কিংবা পাউরুটির ওপর সাদা তিল ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনার ধারণাই নেই এই সাদা তিলে কতটা উপকারিতা রয়েছে। সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসকে কন্ট্রোলে রাখতে সাদা তিল এর ভূমিকা অপরিহার্য। সাদা তিল দেহের ভিতর থাকা কোলেস্টেরলকে কমিয়ে আনে। যখন আপনার দেহের ভিতর থেকে কোলেস্টেরল কমে যাবে,,, স্বাভাবিকভাবেই আপনার হার্ট ভালো থাকবে। কিভাবে ও কোন নিয়মে কালো জিরে এবং সাদা তিলের দানা মিশিয়ে খাবেন তা ভিডিওর একপর্যায়ে জানাচ্ছি। তার আগে সাদা তেলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। সাদা দিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পাচন ক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে। সাদা তিল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সাদা তিলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস থাকে। যা হারকে মজবুত রাখে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সাদা তিল ব্যবহার করলে শরীরে ক্যান্সারের উপদ্রব কমে যায়।

এবার জেনে নিন সাদা তিল এবং কালো জিরে একসঙ্গে মিশিয়ে কিভাবে খাবেন –

আপনারা দুভাবে এই দুটি উপাদান খেতে পারেন।

প্রথম পদ্ধতি অনুযায়ী, আপনারা সাদা তিল এবং কালোজিরাকে একসঙ্গে ভেজে নিন। এরপর দুটোতে বেটে ভর্তা বানিয়ে নিন। এরপর সেই ভর্তাকে গরম ভাতের সঙ্গে মেখে খেয়ে নিয়মিত খান।

পদ্ধতি অনুযায়ী, গরম দুধের সঙ্গে রোজ রাতে এক চামচ করে সাদা তিল এবং কালো জিরে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন।

এই দুটো পদ্ধতিতে টানা ১৫ দিন সাদা তিল এবং কালো জিরে খেতে হবে। তবে মাঝ পথে এই অভ্যাস বন্ধ করে দিলে ফল পাবেন না। নিয়ম মেনে যথাযথভাবে এই দুটি রেমিডি খেতে পারলে ১৫ দিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফলাফল পাবেন। দেহের মধ্যে দেখতে পাবেন এক আমুল পরিবর্তন। আর ঠিক তখনই বুঝতে পারবেন কালোজিরে এবং সাদা তিল আসলেই কতটা উপকারী।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *