কক্ষনোও ভুল আঙ্গুল দিয়ে ফোঁটা দেবেন না ভাইকে! তাহলেই সর্বনাশ, বিপদ বাড়বে ভাইয়ের

কক্ষনোও ভুল আঙ্গুল দিয়ে ফোঁটা দেবেন না ভাইকে! তাহলেই সর্বনাশ, বিপদ বাড়বে ভাইয়ের

কক্ষনোও ভুল আঙ্গুল দিয়ে
ফোঁটা দেবেন না ভাইকে!

ভাই ফোঁটায় করবেন না
এই মারাত্মক ভুলটি!

তাহলেই বিপদ বাড়বে
ভাইয়ের!

কোন আঙ্গুলে ফোঁটা দিলে
ভাইয়ের মঙ্গল হবে জানা আছে তো?

কোন হাতে দেবেন ফোঁটা?
ডান হাতে নাকি বাম হাতে?

শাস্ত্রে কি বলা আছে
দেখুন

ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় পালিত হয় ভাইফোঁটা। প্রতিটি ভাই বোনের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ন এই দিনটি। শাস্ত্র মতে বোনের কাছ থেকে ফোঁটা পেলে ভাইয়ের আয়ু বাড়ে। এই দিনটিতে বোনেরা উপোস করে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয়। তবে এই ফোঁটা দেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যা সঠিক ভাবে পালন না হলে ভাইয়ের মঙ্গলের পরিবর্তে অমঙ্গল ঘটে। এর মধ্যে একটি বিশেষ নিয়ম হল ফোঁটা দেওয়ার সময় সঠিক আঙ্গুলের ব্যবহার। অনেকেই এখানে ভুল করে ফেলেন। কেউ কেউ সঠিক আঙ্গুলের পরিবর্তে ভুল আঙ্গুল দিয়ে ফোঁটা দেন। ভাই ফোঁটা দেওয়ার সঠিক আঙ্গুল হল অনামিকা অর্থাৎ কড়ে আঙ্গুল। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই আঙ্গুল দিয়েই ভাইকে ফোঁটা দিতে হয়। তবে এই আঙ্গুল হতে হবে বাম হাতের, ডান হাতের নয়। হাতের পাঁচ আঙুলের মধ্যে এই আঙ্গুলটি দিয়েই ভাইয়ের কপালে তিলক কাটা হয়। কেন এই আঙ্গুলটি দিয়েই ফোঁটা দিতে হয় সেই ব্যাখ্যা রয়েছে সনাতন ধর্মে।

হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে, আমাদের হাতের পাঁচটি আঙুল ৫টি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এই ৫টি ইন্দ্রিয় হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম। কড়ে আঙুল অর্থাৎ অনামিকা আঙুলকে হল ব্যোম।
এই কড়ে আঙুল হল মহাশূন্যের প্রতীক। এই আঙ্গুল অত্যন্ত পবিত্র। এই আঙ্গুল দিয়ে ফোঁটা দিলে ভাইয়ের মঙ্গল হয়, আয়ু বাড়ে। যমের নজর থেকে প্রাণপ্রিয় ভাইকে রক্ষা করা যায়। ভাইয়ের আপদ বিপদ দূর হয়। হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, যমরাজকেও ভাই ফোঁটা দিতেন যমুনা। ভাইয়ের যাতে কোনও প্রকার অমঙ্গল না হয় সেই জন্য এই রীতি পালন করতেন। একে যম দ্বিতীয়াও বলা হয়।

ভাই ফোঁটায় আর কি কি করা উচিত দেখুন –

১, ভাইকে ধান, দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করুন।

২, ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় আরতি করুন।

৩, ভাইয়ের নামে দান ধর্ম করুন।

এতে করে ভাইয়ের মঙ্গল হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *