ঘূর্ণিঝড়

উৎসবের আবহেই ঘূর্ণিঝড় বাংলায়? কালী পুজো মিটতেই বাংলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস? বাংলা তোলপাড় করতে আসছে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’? কি বলছে হাওয়া অফিস? রাজ্য বাসীর ওপর কি প্রভাব ফেলতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়? চিন্তায় মৌসম ভবন! আসুন জানা যাক বিস্তারিত।

উৎসবের মরশুমেই এল ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত। কালীপুজো আর ভাইফোঁটা মিটতেই বাংলায় চোখ রাঙাচ্ছে দুর্যোগ! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে একটি ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গেরও একাংশে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরে। তবে তা আরো ঘনীভূত হবে কিনা  সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাই এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি তৈরি হবে কিনা এ বিষয়ে ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফ থেকে এখনও সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি।

মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে ১৪ ই নভেম্বর নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।  যা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ ই নভেম্বর মধ্য ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ।

এই সম্ভাব্য নিম্নচাপের ফলে মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরের উপর ঘন্টাই  ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় উঠবে। তবে দমকা হওয়ার বেগ কখনও  কখনও  ঘণ্টায় ৫৫ কিমিও পৌঁছে যেতে পারে। এই বেগে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বইবে।

আবহাওয়াবিদদের দেওয়া একটি মডেল অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার সম্ভাব্য অভিমুখ হতে পারে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ। তাই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ্যা জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে ‘মিধিলি’। ওয়ার্ল্ড মেটারিয়ালসিকাল অর্গানাইজেশন ওরফে ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক্যাট তথ্য অনুযায়ী এই নাম মালদ্বীপের দেওয়া। আগামী ১৭ ই নভেম্বর উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আঁচড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *