ওয়ো রুমে যান? অথচ এটাই জানেন না, ওয়োর আসল মালিক কে? তিনি একজন ভারতীয় বিলিয়নার

ওয়ো রুমে যান? অথচ এটাই জানেন না, ওয়োর আসল মালিক কে? তিনি একজন ভারতীয় বিলিয়নার

ওয়ো রুমে যান? অথচ এটাই জানেন না,
ওয়োর আসল মালিক কে?

তিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সেই
হয়েছেন বিশ্বের ২য় বিলিয়নার!

তার মত এত কম বয়সে
বিলিয়নার কেউ হতে পারেননি!

সব থেকে বড় কথা
তিনি একজন ভারতীয়!

কি অবাক হচ্ছেন? আসুন আজকে জেনে নেব সেই মানুষটার গল্প। যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সেই শুরু করেছিলেন নিজস্ব হোটেল চেন বিজনেস। যেটি আজকের দিনে ওয়ো নামে পরিচিত। বর্তমানে ৮ হাজার কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক এই ছেলেটি। ১৯৯৩ সালের ১০ই নভেম্বর ওড়িশার বিসাম কটকে জন্ম হয় তার ।ছোটবেলা থেকেই ভীষণ শান্ত স্বভাবের ছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম হওয়ায় জীবনে বিলাসিতার ছোঁয়া ছিল না। খেয়ে পড়ে কোন রকমে বেঁচে থাকাটাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। ছোটবেলা থেকে খুব একটা বন্ধু ছিল না, তাই নিজের মতো করেই সময় কাটাত সে। অভাব অনটনের মধ্যেই,, ওড়িশার একটি স্কুল থেকে কোনরকমে পড়াশোনা শেষ করে ছেলেটি। তার বাবার একটি ছোট্ট দোকানের ইনকাম থেকেই টেনেটুনে চলত সংসার। এদিকে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে সিম কার্ড বিক্রি শুরু করে দেয় ছেলেটি।

এরপর নয়া দিল্লিতে এসে শুরু কর কলেজ জীবন। তবে পুঁথিগত বিদ্যায় কখনোই মন ছিল না তার। ঘুরে বেড়ানোই ছিল তার নেশা। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখত রিস্ক ওঠানোর। বরাবরই নিজে কিছু করতে চাইত। এরপরই হঠাৎ একদিন চলে এলো সেই সুবর্ণ সুযোগ। যে সুযোগটির জন্য ছেলেটি বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছিল। কলেজের পড়াশোনার মাঝপথে একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাই ছেলেটি। এই প্রোগ্রামটি তাকে পরবর্তীতে জগৎ বিখ্যাত করে তোলে। এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামটির আয়োজক ছিলেন জার্মান আমেরিকান শিল্পপতি পিটার থিয়েল। এই প্রোগ্রামে ২২ বছর কিংবা তার কম বয়সী তরুণ তরুণীরা নিজেদের ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করেছিল। এই ফেলোশিপটি করার জন্য ছেলেটি কলেজ পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিল । এরপর সে শুরু করেছিল ওরাভেল স্টেজ নামে নিজস্ব একটি সংস্থা। এই সংস্থার মাধ্যমে দেশের কোথায় কোথায়, কোন কোন হোটেলে কম খরচে পাওয়া যাবে- তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব।

এদিকে ফেলোশিপ প্রোগ্রামটিতে অংশগ্রহণ করে ২০১২ সালে বিজয়ী হয় ছেলেটি। এক লক্ষ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ লক্ষ টাকা পেয়েছিল সে। সেই পুরো টাকাটাই ওয়ো রুমস সংস্থা তৈরি করতে খরচ করে দেয় ছেলেটি। ছেলেটির নাম রীতেশ আগরওয়াল। যার হাত ধরে আজ ভারতের আনাচে কানাচে পরিচিত ওয়ো রুমস! তরুণ প্রজন্মের কাছে আনন্দ উপভোগ করার সেরা ঠিকানা। উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু অবিবাহিত কাপলদের মিলন মেলা ওয়ো রুমস। তাছাড়াও স্বল্প খরচে হোটেল খোঁজার একমাত্র ভরসা ওয়ো রুমস। রীতেশ আগরওয়াল মাত্র কয়েকটি হোটেল নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, আর আজ তার ছাতার তলায় কাজ করছে শয়ে শয়ে হোটেল। সকলেই উপার্জন করছে অগাধ টাকা। সত্যিই রীতেশ আগরওয়াল গোটা যুব সমাজের কাছেই অনুপ্রেরণা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *