জানেন স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক আসলে ঠিক কতটা হওয়া উচিত? সঠিক হিসেব জানিয়ে দিলেন গবেষকরা! হিসেবটা অবাক করবে আপনাকে

জানেন স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক আসলে ঠিক কতটা হওয়া উচিত? সঠিক হিসেব জানিয়ে দিলেন গবেষকরা! হিসেবটা অবাক করবে আপনাকে

জানেন স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক
আসলে ঠিক কতটা হওয়া উচিত?

বয়সের পার্থক্য কতটা হলে
টিকে থাকে বিয়ে?

কত বছরের ফারাকে বিয়ে করা
একেবারেই উচিত নয়?

সঠিক হিসেব জানিয়ে দিলেন গবেষকরা!
হিসেবটা অবাক করবে আপনাকে!

বিয়ে জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত। বিয়ের মধ্যে দিয়ে দুটো আলাদা মানসিকতার মানুষ সারাজীবন এক সাথে চলার অঙ্গীকার করেন। এই বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। অনেকই এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তবে ২১ শতকেও অনেকেই স্বামী, স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা মনে করেন স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত। তবেই নাকি সম্পর্ক টিকিয়ে যায়! এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাদের সেই সমীক্ষায় উঠে আসে বেশ কিছু অজানা তথ্য ও ফ্যাক্ট। তারা বিভিন্ন বয়সের ব্যবধানে,, বিভিন্ন দম্পতিদের উপর এই সমীক্ষাটি চালিয়েছেন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে কত বছর বয়সের ব্যবধান রেখে বিয়ে করলে সম্পর্ক মজবুত হয় –

১, ৫ থেকে ৭ বছরের ব্যবধান – এই বয়সের ব্যবধান থাকলে দম্পতিদের মধ্যে ঝামেলা কম হয়। স্বামী, স্ত্রী একে অপরকে বোঝে। দুজনের মধ্যে মতের অমিল কম দেখা যায়। দুজনের মধ্যেই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ সবচেয়ে বেশি যায়। গবেষণাটিতে এই বয়সের ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়েছে।

২, ১০ বছরের ব্যবধান – বেশিরভাগ অভিভাবকেরাই মনে করেন বিয়ের জন্য ছেলেমেয়েদের মধ্যে ১০ বছরের ব্যবধান থাকা উচিত। এই ব্যবধানে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা গাঢ় হয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণা বলছে অন্য কথা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ১০ বছরে ব্যবধান থাকলে সম্পর্ক মজবুত নয় বরং ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। কারণ ১০ বছরের ব্যবধান হওয়ার ফলে স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। দুজনের আলাপ চারিতায় বিস্তর ফারাক থাকে। বয়সের এই বিরাট পার্থক্যের ফলে সম্পর্কে সংকোচ বোধ আসে। ফলে মনের কথা মনেই থেকে যায়। তাই বয়সের এই পার্থক্য বিয়ের জন্য ঠিক নয়।

৩, ২০ বছরের ব্যবধান – সাধারণত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কুড়ি বছরের ব্যবধান একেবারে আদর্শ নয়। অনেকেই এই ব্যবধান বজায় রেখে বিয়ে করেন। তবে গবেষণায় এই ব্যবধানকে একেবারেই উপযুক্ত বলে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কারণ কুড়ি বছরের ব্যবধান রেখে বিয়ে করেছেন যেসব দম্পতি তাদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে দুজনের জীবনের লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষা এবং মতামত প্রতি পদে পদে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে,,এমনটাই উঠে এসেছে। এই ব্যবধানে বিয়ে করলে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। বয়সে বড় সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে চাইলেও বয়সের ছোট সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে আগ্রহী হন না। এভাবে মতপার্থক্যের জেরে সম্পর্ক বিশাদগ্রস্ত হয়ে ওঠে।

এখান থেকেই পরিষ্কার, বেশি বয়সের ব্যবধান নয়, অল্প বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করাটাই বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *