বিয়ে করার আগে অবশ্যই জানুন, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত সবচেয়ে বেশি সুখী কারা জানেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিয়ে করার আগে অবশ্যই জানুন, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত সবচেয়ে বেশি সুখী কারা? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিয়ে করার আগে
অবশ্যই জানুন

বিবাহিত নাকি অবিবাহিত
সবচেয়ে বেশি সুখী কারা?

বিয়ে করা ভালো নাকি
সিঙ্গেল থাকা ভালো?

বিয়ে করবেন নাকি
করবেন না!

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন
চাঞ্চল্যকর তথ্য

কথায় বলে দিল্লীর লাড্ডু খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন! অর্থাৎ বিয়ে করলেও আফসোস করবেন যে এই ভেবে কেন বিয়ে করলাম? আবার না করলেও আপনি ভাববেন কেন যে বিয়ে করলাম!! বিয়ে করা নিয়ে সমাজে দু রকমের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। কেউ বলেন বিয়ে করা ভালো আবার কেউ বলেন বিয়ে করাটাই ভুল! কিন্তু আদৌতে কোনটা ঠিক বিয়ে করাটা নাকি না করাটা? বিবাহিতরা সুখী নাকি অবিবাহিতরা!? এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন ভারতের এক সাইকোলজিস্ট। তিনি,, বিবাহিত এবং অবিবাহিতদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। এই সমীক্ষা থেকেই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাস্তবে কারা সুখী এবং দুঃখী সেই উত্তরটি বেশ পরিষ্কার হয়েছে এই সমীক্ষা থেকে।

জানা গিয়েছে সুখী মানুষের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে অবিবাহিতরা। অন্যদিকে বিবাহিতরা তুলনামূলকভাবে কম সুখী। কেন বিবাহিতদের সুখে হার কম ও অবিবাহিতদের বেশি তার পক্ষে বিপক্ষে একাধিক যুক্তিও দেখিয়েছেন ওই সাইকোলজিস্ট। সেগুলো হল –

১, মানসিক চাপ – বিবাহিত ব্যাক্তির মানসিক চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ তিনি একটি পরিবারের প্রতি প্রচন্ড মাত্রায় দায়বদ্ধ থাকেন। তাকে স্ত্রী, সন্তানের কথা ভাবতে হয়। অন্যদিকে যারা সিঙ্গেল তাদের ক্ষেত্রে এই চাপ কম থাকে। স্ত্রী, সন্তান পালনের মতন গুরুদায়িত্ব তাদের পালন করতে হয় না। এক্ষেত্রে সিঙ্গেলরাই এগিয়ে।

২, আর্থিক চাপ – যারা বিয়ে করে সংসার ধর্ম পালন করছেন তাদের আর্থিক চাপ অনেক বেশি থাকে। সংসারের হাজার কাজে তাদের টাকা দিতে হয়। সেই টাকা জোগাড় করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এদিকে যারা অবিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে অর্থের চাপ তুলনামূলক কম থাকে।

৩, শান্তির ঘুম – সমিক্ষায় দেখা গিয়েছে বিবাহিত মানুষের ঘুমের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সেই তুলনায় অবিবাহিতদের ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই ভালো। প্রতিটি বিবাহিত মানুষের জীবনে সংসার কেন্দ্রিক চাপ থাকে। না চাইলেও অতিরিক্ত চিন্তা এসে মাথায় জমা হয়। যে কারণে বিবাহিত মানুষের ঘুম অনেকটাই হালকা হয়। আবার রাতের বেলায় সঙ্গীকে সময় দেওয়ার কারণেও ঘুম কম হয়ে থাকে। কিন্তু যারা সিঙ্গেল এখনো বিয়ে করেনি তাদের ঘুম ভালোই হয়। তাদের ক্ষেত্রে প্রেশার থাকলেও, বিবাহিতদের তুলনায় কিছুটা কম থাকে।

৪, স্বাধীনতা – বিবাহিত মানুষের জীবনে সর্বক্ষেত্রে স্বাধীনতা সংকুচিত হতে থাকে। কারণ একটি মানুষ যখন বিয়ে করেন তখন তাকে তার সঙ্গীর কথাও ভাবতে হয়। সংগীত চাওয়া-পাওয়া, ভালোলাগা, খারাপ লাগা সমস্ত দিক মাথায় রেখে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয়। ফলে বিয়ের পর মন যা চাই তাই করা যায়, এমন ব্যাপার আর থাকে না। আর যারা অবিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও সমস্যা থাকে না।

৫, স্বাস্থ্য সংকট – বিবাহিতদের স্বাস্থ্য সংকট বেশি হয়। কারণ বৈবাহিক জীবনে দায়িত্বের চাপে নিজের প্রতি সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। শরীরচর্চা, মানসিক স্বাস্থ্য নানা ভাবে বিঘ্নিত হতে থাকে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরে। এদিকে অবিবাহিতরা নিজের প্রতি অনেক বেশি সময় দিতে পারেন। নিজের যত্ন আত্তি করতে পারেন।

এই সম্পূর্ণ গবেষণা থেকে এটাই জানা যায় বিবাহিতদের থেকেও সিঙ্গেলরা অনেক বেশি ভালো রয়েছেন। তবে ভালো খারাপ দুক্ষেত্রেই রয়েছে। বিয়ে করলেই যে জীবন শেষ হয়ে যাবে এই ধারণা কিন্তু ভুল। মনে রাখবেন কোনো মানুষই সবসময় একা থাকতে পারেন না। একটা সময় প্রতিটি মানুষের একজন সঙ্গীর দরকার পড়ে। তখন দুটো মানুষ পাশাপাশি এসে সাংসারিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। এক্ষেত্রে সব সময় চাপ বেড়ে যায় এমনটা নয়। দুটো মানুষ সাংসারিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মধ্যে দিয়েও অনেক ভালো কিছু করতে পারেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *