ভারতের নানান প্রান্তে শিরা-ধমনীর মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভারতীয় রেল। যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন পরিষেবা নিয়ে আসছে ভারতীয় রেলে। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে আধুনিকীকরণের সাথে সাথে এবার রোজগার করারও বিশের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে ভারতীয় রেল। আমাদের দেশের অধিকাংশ রেলস্টেশনেই রয়েছে চা-কফি,খাওয়ার জল, বই, খেলনা, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য আইটেম বিক্রির ছোটখাটো স্টল।
দিনভর রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে লক্ষ-লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন।তাই রেলের প্ল্যাটফর্মে দোকান খুললে জিনিস বিক্রির সুযোগও অনেক বেশি আসে। কিন্তু চাইলেই তো আর ভারতীয় রেলের জায়গায় দোকান খোলা যায় না! তার জন্য রয়েছেন বিশেষ পদ্ধতি। তবে রেলস্টেশনে একবার দোকান খুলতে পারলেই তার থেকে লাভ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
কী কী নথি লাগবে?
অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। তাই আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক।
কত খরচ হবে?
দোকানের সাইজ এবং অবস্থান অনুযায়ীই ফি নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। পছন্দ মতো বইয়ের স্টল, সংবাদপত্রের স্টল থেকে শুরু করে চা ও কফির স্টল, কিংবা খাবারের স্টল খোলা যায়। তবে এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য রেল প্রায় ৪০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। তবে বাজেট কম হলে রেল ছোট স্টল খোলারও অনুমতি দেয়।
রেলওয়ে স্টেশনে কীভাবে দোকান খোলা যাবে?
ভারতীয় রেল প্ল্যাটফর্মে দোকান খোলার জন্য টেন্ডারের আয়োজন করে। তাই এ বিষয়ে খবর পেতে হলে আইআরটিসি-র পোর্টালে নিয়মিত নজর রাখতে হবে। টেন্ডার ডাকা হলে যারা আগ্রহীরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফর্ম ফিল আপ করে তা রেলওয়ের জোনাল অফিস বা ডিআরএম অফিসে জমা দিতে পারেন। এই আবেদন পত্রের সাথেই প্রয়োজনীয় নথি থাকা বাঞ্চনীয়। তবে এখন এই আবেদন জানানোর এই কাজ অনলাইনেও করা যায়।
এরপর রেল কর্তৃপক্ষ সমস্ত তথ্য যাচাই করবে। এরপর যোগ্যতা অনুযায়ী টেন্ডার দেওয়া হবে। এই পেলে তবেই স্টেশনে দোকান খোলা যাবে। মূলত ৫ বছরের জন্য দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
কিসের দোকান খুললে বেশি লাভ হবে?
রেল স্টেশনে দোকান খুললে মাথায় রাখতে হবে যাত্রীদের নিত্যনৈমিত্তিক চাহিদার উপর। তাই আগেই বাজার গবেষণা এবং একটি সুপরিকল্পিত ব্যবসায়িক কৌশল তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে যাত্রীদের ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় জিনিসের স্টল খুললেই বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
Leave a Reply