ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক অভিষেক বানার্জীর,৭০ হাজার মহিলাকে দেওয়া হবে বিশেষ সুবিধা!
দীপাবলিতে একসাথে
৭০ হাজার মহিলাকে বড় উপহার
বড় ঘোষণা
অভিষেক ব্যানার্জির
মমতাময়ী মমতার পর
এবার দয়ালু অভিষেক ব্যানার্জি
কি সেই উপহার ?
কারা পাবে সেই উপহার ?
কখনই বা পাবে?
পশ্চিমবঙ্গের বয়স্ক মানুষেরা বৃদ্ধা ভাতা থেকে বঞ্চিত। দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও নানা কারণে বয়স্ক মানুষেরা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই অভিষেক ব্যানার্জি এই অভিযোগ শুনে আসছেন। অভিযোগ তুলেছেন প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি বয়স্ক মানুষ। এবার এদের জন্য সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক ব্যানার্জি। সম্প্রতি ফলতার একটি বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অভিষেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৭০ হাজার বয়স্ক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেবেন। লোকসভার আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই এই ভাতা দেওয়া আরম্ভ হবে।
অভিষেকের কথায় –
“গত এক-দেড় মাস ধরে আমি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার প্রশাসনের কাছে খবর নিয়েছি। জেনেছি ৭০ হাজার মানুষ দুয়ারে সরকার শিবিরে নতুন করে বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন। তাঁদের আমরা আমাদের সাধ্যমতো বার্ধক্য ভাতা দেব। সরকার যবে দেবে দিক। তার আগে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আমরা আমাদের সাধ্যমতো বার্ধক্য ভাতা পৌঁছে দেব। ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় এক থেকে দেড় লক্ষ তৃণমূল কর্মী রয়েছেন। তাঁদের থেকে সাহায্য নিয়ে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে। এটাই ডায়মন্ড হারবার মডেল। কারও যদি গায়ে লাগে, তা হলে কিছু করার নেই।”
একই সাথে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তৃণমূলের যুবরাজ জানান, মানুষের সেবা করাই জনপ্রতিনিধিদের কাজ। মানুষে মানুষে বিভাজন ঘটানো জনপ্রতিনিধিদের কাজ নয়। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই জনপ্রতিনিধির আসল দায়িত্ব বলে মনে করছেন অভিষেক।
অভিষেকের কথায়,
“এটাই জনপ্রতিনিধির কাজ। জনপ্রতিনিধির কাজ মানুষে মানুষে বিভাজন করা নয়। টাকা নিয়ে সেটিং করা নয়। বরং নিজের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।”
এদিকে আচমকা অভিষেকের এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিশিষ্ট মহলে। অনেকেই এই প্রতিশ্রুতির পেছনে অন্য মতলব খুঁজছেন। কারো কারো মতে লোকসভার ময়দানে ভোট বাক্সের ওজন বাড়াতেই নয়া চাল চালছেন অভিষেক।
Leave a Reply