কালী পুজোর আগের রাতে কেন ১৪ প্রদীপ জ্বালা জ্বালাচ্ছেন জানেন? না জেনেই করছেন এই কাজ

কালী পুজোর আগের রাতে কেন ১৪ প্রদীপ জ্বালা জ্বালাচ্ছেন জানেন? না জেনেই করছেন এই কাজ

কালী পুজোর আগের রাতে
১৪ প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন? (প্রশ্নবোধক চিহ্নতে জোর দিও)

অথচ কেন জ্বালাচ্ছেন এই প্রদীপ
সেটাই জানেন না!

না জেনেই করছেন এই কাজ?
মা কালীর জন্য জ্বলে না এই প্রদীপ!

এই প্রদীপগুলো জ্বলে
অন্য ৫টি কারণে

যা ১০০ জলের মধ্যে
৭০ জনই জানে না!!

জেনে নিন কারণগুলো –

১, পূর্ব পুরুষদের সন্তুষ্ট করা – শাস্ত্রমতে কালী পূজোর আগের দিন রাতে পূর্ব পুরুষেরা পৃথিবীতে ঘোরাঘুরি করেন। তারা আপনজনের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। হিন্দু তন্ত্র শাস্ত্র এটাও বিশ্বাস করে যে, এই সময় অশরীরীদের আনাগোনাও বাড়ে। আর তাই পূর্বপুরুষেরা যাতে ইহলোকের কারো অনিষ্ঠ না করে তাই তাদের সন্তুষ্ট রাখতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়।

২, অতৃপ্ত পরলোকবাসীকে ভয় দেখানো – কালীপুজোর আগের দিনটিকে ভূত চতুর্দশী বলা হয়। এই দিন নরকের দরজা খুলে যায়। ফলে নরক থেকে সমস্ত অতৃপ্ত পরলোকবাসী পৃথিবীতে চলে আসে। তাদের সাথে সাথে সমস্ত খারাপ বিষয় মর্তে নেমে আসে। চারিদিকে অমঙ্গল শুরু হয়। এই সব বিপদের হাত থেকে বাঁচতেও ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রদীপের আলোয় সমস্ত আধার কেটে যায়। সমস্ত অমঙ্গল মঙ্গলে পরিণত হয়।

৩, যম দেবকে খুশি করা – হিন্দু শাস্ত্র মতে, কালী পুজোর আগের দিন ১৪ জন যমদেবতা পৃথিবীতে নেমে আসেন। এরা হলেন যমরাজ, ধর্মরাজ, কাল, মৃত্যু, অন্তক, সর্বভুতক্ষয, বইবস্তত, বিকদারো, দধনো,
পরমষ্টি, চিত্র, চিত্রগুপ্ত, নীন, উরমবর। কথিত
রয়েছে এই ১৪ জন যম দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে হয়। এদেরকে খুশি করা না গেলে ঘরে অলক্ষ্মী প্রবেশ করেন।

৪, অকাল মৃত্যুর ভয় দূর – কালীপুজোর আগের রাতে ১৪ টি প্রদীপ একসঙ্গে চালানো হলে অকাল মৃত্যুর ভয় কেটে যায়। রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মারা যাওয়া এই ধরনের বিপদ আপদ গুলো দূর হয়।

৫, পাপ থেকে মুক্তি – হিন্দু শাস্ত্রে এই চৌদ্দ প্রদীপকে গঙ্গা জলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। গঙ্গায় ডুব দিলে যেমন মানুষের পাপ মোচন হয়, ঠিক তেমনি চৌদ্দ প্রদীপ জ্বালালেও মানুষের পাপ ক্ষয় হয়।

অনেকেই ভেবে থাকেন কালী ঠাকুরের উদ্দেশ্যে এই 14 প্রদীপ জ্বালানো হয়। কিন্তু না!! চৌদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর পেছনে এ পাঁচটি কারণকেই মনে করা হয়। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *