রেলের বালিশ চাদর চুরি

কথায় আছে,বসতে দিলে খেতে চায়, খেতে দিলে শুতে চায়!  গ্রাম বাংলার এই প্রচলিত প্রবাদই এখন সত্যি দেখা যাচ্ছে ভারতীয় রেলের এসি কম্পার্টমেন্টে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ভারতীয় রেল একাধিক সুযোগ-সুবিধা দিলেও তারই অপব্যবহার শুরু করেছেন বেশ কিছু যাত্রী।  যার ফলে প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের। রেলের দেওয়া বালিশ, কম্বল, চাদর তোয়ালের মতো   জিনিস যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করার অনুমতি থাকলেও তা ইচ্ছামতন ব্যাগে ঢুকিয়ে চম্পট দিচ্ছেন বেশ কিছু অসাধু রেল যাত্রী।

একটা সময় এই ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে  কোন ব্যবস্থা নিতে পারত না ভারতীয় রেল। কিন্তু এখন এই বিষয়ে বেশ কড়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাই ভুলেও এই মূল করার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন ভারতীয় রেলের এই নতুন নির্দেশিকা। ভারতীয় রেলের সম্পদ হল সরকারি সম্পদ। তাই এই সমস্ত জিনিস চুরি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।  যার ফলে হতে পারে মোটা টাকার জরিমানা সহ জেলও।

রেলের পণ্য চুরি করলে কত বছর জেলে থাকতে হবে জানেন?

রেলের সম্পদ চুরি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই রেলের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি জিনিস চুরি করলে পাঁচ বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে মোটা টাকা। রেলের সম্পত্তি আইন ১৯৬৬ অনুযায়ী এই ধরণের অপরাধীদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রেলের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি:

শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক যাত্রীর বদভ্যাসের মাশুল গুণতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে। চুরি যাওয়া চাদর,কম্বল, তোয়ালে, চামচ,কেটলি, কল কিংবা টয়লেট বউল এই সবই রেলের সম্পত্তি। চুরি যাওয়া এই সব জিনিস বারবার কিনতে গিয়েই বড়সড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে ভারতীয় রেল। হিসাব বলছে জিনিস চুরির  জন্য প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।

কোন রুটে বেশি জিনিস চুরি হচ্ছে?

ভারতীয় রেলের  রিপোর্ট বলছে  ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর জোনের ট্রেন থেকেই  সবচেয়ে বেশি চুরি হচ্ছে। বিলাসপুর এবং দুর্গ থেকে চলাচলকারী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকেই কম্বল, চাদর এবং বালিশের কভার কিংবা তোয়ালে  চুরি যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকার চাদর এবং কম্বল চুরির হিসাব মিলেছে ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *