কাজী নজরুল ইসলামকে চরম অপমান করলেন এ আর রহমান! অভিযোগ তুলছে বাংলাদেশের মানুষ

কাজী নজরুল ইসলামকে চরম অপমান করলেন এ আর রহমান! অভিযোগ তুলছে বাংলাদেশের মানুষ

কাজী নজরুল ইসলামকে
চরম অপমান করলেন এ আর রহমান!

নজরুল গানের ১২ টা বাজিয়েছেন
ভারতের শিল্পী!

বিস্ফোরক অভিযোগ করছে
ভারত-বাংলাদেশের মানুষ!

ঠিক কি ঘটিয়েছেন তিনি?

কাজী নজরুল ইসলামের গান “কারার ওই লৌহ কপাট”। যা শুনলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। গানটির প্রতিটা কথা, প্রতিটা শব্দ শরীরকে আন্দোলিত করে, শিহরিত করে। এই গানটির বিদ্রোহী সুর মনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এটি সাধারণ কোনও গান নয়, এই গান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা। এবার এই গানটিকে নিয়েই ছেলেখেলা করে বসলেন শিল্পী এ আর রহমান। ঠিক এই অভিযোগেই ভরে গিয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। বাঙালির আবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে শিল্পীর বিরুদ্ধে। শিল্পী হিসেবে এ আর রহমানের কাছ থেকে এমন কাজ আশা করেনি কেউ, বলছে নেটপাড়া।

ঘটনার সূত্রপাত এমাজন প্রাইমে মুক্তি প্রাপ্ত ” পিপ্পা” নামক সিনেমা থেকে। এখানেই ব্যবহৃত হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান ‘কারার ওই লৌহকপাট’। একেবারে সুর বদলে ব্যবহৃত হয়েছে এই গান। নিজের মত করে এই গানটি পরিবেশন করেছেন স্বনামধন্য এই শিল্পী। সেই সাথে গলা মিলিয়েছেন একদল বাঙালি শিল্পী। তাঁরা হলেন রাহুল দত্ত, তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাস, শ্রয়ী পাল, শালিনী মুখোপাধ্যায়, দিলাশা চৌধুরী। গানটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই ক্ষেপে লাল নেটপাড়া। একদল বাঙালি কি করে কাজী নজরুল ইসলামের গানের সুর পাল্টে দিলেন? প্রশ্ন তুলছেন বিশিষ্টরা। প্রতিবাদ মুখর বাংলাদেশ থেকে কলকাতা। বাংলাদেশের মানুষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পড়শি দেশের দাবি এই ঘটনায় তাদের জাতীয় কবির মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কাজী নজরুল ইসলামের নাতি কাজী অরিন্দম ও নাতনি খিলখিল বেগম। এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন –

‘‘অনেকেই মনে করেন, দাদুর কাজের বোধহয় কোনও কপিরাইট নেই। তাই যা খুশি, যেমন খুশি করা যায়। তা কিন্তু নয়। দাদুর এই গানের সমস্ত নথিপত্র, সবিস্তার তথ্য আমাদের কাছে আছে। কাজী নজরুল ইসলামের গান কী করে এভাবে বদলে গেল?’’

তিনি আরো বলেন –

‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিন্দুমাত্র পরিবর্তিত হলে তাই নিয়ে হইচই পড়ে যায়। একই ঘটনা কাজী নজরুল ইসলামের গানের সঙ্গে ঘটলে সেটিও সমান অপমানের। আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ বৈঠকে বসব।’’

সামাজিক মাধ্যমেই এ আর রহমানকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের মন্তব্য জমা হচ্ছে। এক ব্যাক্তি লিখেছেন , ‘মনটা জাস্ট ভেঙে গেল। এআর রহমান এত সুন্দর গানটির পুরো বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।’ আরেকজন লিখেছেন – ‘এই বিখ্যাত গান নিয়ে ওঁকে কে ছ্যাবলামি করার স্পর্ধা দিয়েছে। উনি বিখ্যাত সুরকার বলেই যা খুশি তা করতে পারেন না।’ এমনই মতামত পোষণ করেছেন জনৈক নেটিজেনেরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *