দুপুরে ভাত খাওয়ার পর পর ঘুমিয়ে পড়ছেন? এর ফলে শরীরের ভিতর কি ঘটছে জানেন?

দুপুরে ভাত খাওয়ার পর পর ঘুমিয়ে পড়ছেন? এর ফলে শরীরের ভিতর কি ঘটছে জানেন?

দুপুরে ভাত খাওয়ার পর পর
ঘুমিয়ে পড়ছেন?

শরীরের ভিতর
কি ঘটছে জানেন?

এভাবেই ডেকে আনছেন
সাক্ষাৎ মৃত্যু!

শরীরে বাঁধাচ্ছেন ভয়ংকর
৫ টি রোগ

বাঙালি মানেই দুপুর বেলার ভাতঘুম। এমন কোনও বাঙালিকে আপনি খুঁজে পাবেন না,, যিনি দুপুর বেলা ঘুমোন না। কিন্তু জানেন কি দুপুরের এই ভাতঘুম আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকারক? এক নজরে দেখুন দুপুর বেলা ঘুমোলে কোন ৫টি মারাত্মক রোগ হয় –

১, হজম ক্ষমতা নষ্ট – চিকিৎসা বিজ্ঞানে দুপুর বেলা ঘুমোতে নিষেধ করা হয়েছে। এর ফলে হজম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়, দুপুর বেলা হল মানুষের হজম তন্ত্র কাজ করার আদর্শ সময়। অর্থাৎ এই সময় একটি মানুষের শরীরে যাবতীয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করে। আর কাজ করে বলেই মানুষ সুস্থ থাকে। কিন্তু মানব শরীরের এই হজম তন্ত্র এবং অন্যান্য কাজগুলো বাধা প্রাপ্ত হয় দুপুর বেলা ঘুমের কারণে। দুপুরবেলা মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে বলেই পরিপাকতন্ত্র সচল থাকতে পারে না। এরফলে মানব শরীরে পরবর্তীকালে নানা ধরনর জটিলতা সৃষ্টি হয়।

২, পাকস্থলীতে ঘা – অনেকেই এই বিষয়টি জানেন না। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন দুপুর বেলা আমাদের পাকস্থলীতে এক ধরনের এসিড উৎপন্ন হয়। এই এসিড উৎপন্ন হলে
মানুষের সজাগ থাকা উচিত। এতে করে এই এসিডের ক্ষরণ কম হয়। কিন্তু মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন এই এসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলীতে ভবিষ্যতে ঘা হয়।

৩, মস্তিষ্কের ক্ষতি – দুপুর বেলার ভাত ঘুম মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। ডাক্তাররা বলছেন মানুষের ঘুমোনোর নির্দিষ্ট টাইম রয়েছে। মানুষ এই কারণে দুপুরবেলা ঘুমাতে পাতে না, কারণ শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দুপুরবেলায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। যেমন তার মধ্যে আমাদের মস্তিষ্ক রয়েছে। আমাদের প্রধান অঙ্গ মস্তিষ্ক দুপুর বেলা অনেক কাজ করে। ঘুমানোর ফলে সেই সব কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

৪, হার্টের ক্ষতি – দুপুর বেলার ঘুম হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাদের দুপুরবেলা ঘুমানো মোটেও উচিত না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বহু মানুষ দুপুরবেলায় ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক করেছেন।

৫, ওজন বৃদ্ধি – সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ দুপুরের ঘুম। প্রতিদিন নিয়ম করে দুপুরবেলা ঘুমলে ওজন বাড়ে।

চিকিৎসকেরা বলছেন দুপুরবেলা ঘুম পেলে হাঁটাহাঁটি করুন, বই পড়ুন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে গল্প করুন। এতে করে চোখ থেকে ঘুমও পালাবে, আর আপনিও বড় বড় রোগের হাত থেকে বেঁচে যাবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *