পাঁঠা বলি দেখতে জেগে ওঠেন এই মন্দিরের মা কালী! কেঁপে ওঠেন থর থর করে
পাঁঠা বলি দেখতে জেগে ওঠেন
এই মন্দিরের মা কালী!
কেঁপে ওঠেন থর থর করে!
ঝুঁকে পড়েন মাটিতে!
শেকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়
এই মা কালীকে!
লাখো লাখো ভক্ত ছুটে আসেন এই মন্দিরে মায়ের পুজো দিতে। জাগ্রত এই মন্দিরের মা কালীর কান্ড শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। ভক্তদের মুখে মুখে আজও শোনা যায় নানা রকম হাড়হিম করা কাহিনী। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে এই কালী পুজো শুরু হয়। মালদার হবিবপুর থানার অন্তর্গত মানিকোড়া এলাকায় অবস্থিত এই মন্দির।
শোনা যায় একবার এক শাখা বিক্রেতা এই মন্দিরের পাশে একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখতে পান। মেয়েটি তাঁর কাছ থেকে শাঁখা কেনে। এরপর শাখা বিক্রেতা মেয়েটির কাছ থেকে পয়সা চাইলে, মেয়েটি মায়ের মন্দিরের দিকে দেখিয়ে বলে, ওই মন্দিরের পুরোহিত তার বাবা। তার কাছ থেকেই টাকা চাইতে বলে। ওই শাখা বিক্রেতা পুরোহিতের কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলেই ঘটে,,,, অবাক করা এক কাণ্ড। ওই পুরোহিত মশাই শাখা বিক্রেতাকে জানান তার কোনও মেয়ে নেই। এরপর ওই শাঁখা বিক্রেতার আর বুঝতে বাকি রইল না, ওই ছোট্ট মেয়েটি আর কেউ নন সে ছিল সাক্ষাৎ মা কালী।
লোকমুখে শোনা যায় সবার প্রথম এই মা কালীর পুজো করেন ডাকাতেরা। তবে মায়ের পুজোর বেদি খুঁজে পান এক রাজা। তারপর সেখানে মায়ের মন্দির গড়ে তোলেন তিনি। তবে পুজো শুরু হয় ডাকাতদের হাত ধরে। ডাকাতেরা ভোররাতে এসে মায়ের পুজো করতেন। এক সময় পাঁঠা বলির সময় মায়ের মূর্তি সামনের দিকে ঝুকে পড়তো। মায়ের গোটা মূর্তি থরথর করে কেঁপে উঠতো। সে সময় মা যাতে মাটিতে লুটিয়ে না পড়ে তাই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। এখনোও পাঁঠা বলির সময় মায়ের মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
Leave a Reply