রেশন দুর্নীতিও কিছুই না, এবার বেরিয়ে এলো ধান দুর্নীতি! দেদার লোপাট হয়েছে গরীব চাষির হকের টাকা

রেশন দুর্নীতিও কিছুই না, এবার বেরিয়ে এলো ধান দুর্নীতি! দেদার লোপাট হয়েছে গরীব চাষির হকের টাকা

রেশন দুর্নীতিও কিছুই না
এবার বেরিয়ে এলো ধান দুর্নীতি!

কৃষকদের থেকে ধান কেনাতেও
হয়েছে বড়সড় কেলেঙ্কারি!

নয়ছয় হয়েছে
কোটি কোটি টাকা!

দেদার লোপাট হয়েছে
গরীব চাষির হকের অর্থ!

আরও বড় তথ্য ফাঁস করল
ইডি!

রেশন দুর্নীতির রেশ এখনো কাটেনি! তারই মধ্যে বেরিয়ে এলো ধান দুর্নীতি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির হাতে উঠে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তথ্য সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতির কিনারা খুঁজতে একাধিক আটাকল, গমের গোডাউনে তল্লাশি চালায় ইডি। আর সেই তল্লাশিতে বেরিয়ে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। ধান কেনাবেচাতেও বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্ত আধিকারিকেরা। এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের করতে চলেছেন ইডি আধিকারিকেরা।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী সংস্থা। কৃষকদের কাছ থেকে সঠিক দামে ধান কেন হত না। দালালের মাধ্যমে অনেক কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতেন মালিকেরা। যে দামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হতো সেই দাম কৃষকদের জন্য একেবারেই ন্যায্য ছিল না। এই সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতার নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর এই মামলাটি করেছিল খোদ রাজ্যের খাদ্য দপ্তর। সে সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তদন্তে একাধিক ঢিলেমি হয়েছে বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের। দালালের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ধান কিনতেন মিল মালিকেরা। এরপর সেই ধান কেনার টাকা কৃষকদের ভুয়ো নামের তালিকা তৈরি করে সমবায়ের মাধ্যমে মিল মালিকদের একাউন্টে ঢুকতো। এখানেই শেষ নয়। ধান দুর্নীতির গভীরতা আরও অনেক দূর গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি,দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের রেশন, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা এবং অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনা এই তিনটি প্রকল্পের রেশনের ৩০ শতাংশ খাদ্য পণ্য বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে দেদার বিক্রি হয়েছে। একই সাথে এই খাদ্য পণ্য বিক্রির টাকা গিয়েছে চালকল মালিক ও রেশন ডিলারদের একাউন্তে। সব মিলিয়ে নানা ভাবে লোপাট হয়েছে গরীব চাষির টাকা। এই সমস্ত অনৈতিক কাজে বড় বড় প্রভাবশালীদের যোগসূত্র থাকার বিষয়টিও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রায় কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্ত আধিকারিকদের।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *