ঘন ঘন মুখে ঘা? কিছুই খেতে পারছেন না? অবহেলা না করে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা

ঘন ঘন মুখে ঘা? কিছুই খেতে পারছেন না? মেনে চলুন এই পদ্ধতি দুদিনেই পালাবে ঘা

ঘন ঘন মুখে ঘা ?

সাদা সাদা,
চাক চাক ঘায়ের রং ?

কিছুই খেতে পারছেন না,
ছটফট করছেন যন্ত্রণায় ?

মেনে চলুন এই পদ্ধতি
দুদিনেই পালাবে ঘা !

বর্তমানে চলছে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। আর এই সময়তেই নিয়মিত সর্দি-জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন সকলে। আর এই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলেই অনেকে আক্রান্ত হন মুখের ঘা কিংবা মাউথ আলসারে। খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর এই রোগ। অনেকেই ভিটামিনের ঘাটতিকে এই রোগের জন্য দায়ী করেন। কিন্তু আসলেই সর্বদা ভিটামিনের ঘাটতির জন্য এই রোগ হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে সঠিক চিকিৎসা না করালে বারবার একজন বাক্তি আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে। এই রোগ ছড়াতে পারে মুখের যে কোন অংশে। জীভ থেকে শুরু করে মুখের তালু গলা যে কোন স্থানেই হতে পারে ক্ষত। ক্ষতস্থানটি লাল হয়ে যায় ও ভীষণ যন্ত্রণা করে। কিছু খেতে পারে না আক্রান্ত ব্যক্তি।

আসুন এবারে এক নজরে জেনে নিই এই মাউথ আলসার হওয়ার কারণগুলি সম্পর্কে –

১. অসাবধানবসত দাঁতের কামড়
২. শরীরে ভিটামিন b 12 , ভিটামিন b 9 ও ফোলেটের অভাব হলে।
৩. ডেন্টাল ব্রেস পড়লে
৪. শরীরে হরমোনের অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে
৫. অত্যাধিক মানসিক দুশ্চিন্তাও কারণ হয় মাউথ আলসারের।
৬. সোডিয়াম লুরাইট সালফেট যুক্ত টুথপেষ্ট ব্যবহারের ফলে।
৭. ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে।
৮. এমনকি কফি, চকোলেট বা লেবুর থেকেও হতে পারে এই সমস্যা।
অনেকে অনিদ্রাকেও দায়ী করে এই রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে।

তবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাবারও আছে উপায়। আসুন দেখে নিই…

১. দ্রুত চিকিৎসা
এই রোগটিকে অনেকেই প্রথমে খুব একটি গুরুত্ব দেন না। তার ফলে বৃদ্ধি পায় রোগের প্রকোপ, কষ্ট বাড়ে। তবে এই রোগ হলেই দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। নিজে ডাক্তারি করে ওষুধ না খাওয়াই ভালো বরং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত নির্দিষ্ট ওষুধ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ব্যাথা কমাতে অ্যান্টিসেপটিক জেল, স্টেরয়েড মলমও ব্যবহার করতে পারেন। কিছুটা হলেও উপশম হবে আপনার ব্যথা।

২. ঘরোয়া চিকিৎসা
চিকিৎসকের কাছে তো অবশ্যই যাবেন তবে তার আগে করতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকা। যার ফলে কিছুটা হলেও আরাম পাবেন আপনি। সেগুলি হল –
প্রথমত প্রচুর পরিমাণে জলপান করুন এরপর বারবার ব্রাশ করে পরিষ্কার করুন মুখের ভেতর। মাঝে মধ্যে অল্প গরম নুন জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। আর হ্যা এই সময়ে ভুলেও খাবেন না ঝাল খাবার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *