ভুলেও ছোঁবেন না এই ৬টি মাছ!প্রেগনেন্ট মহিলা থেকে শিশু প্রত্যেকেই হয়ে যান সাবধান!

ভুলেও ছোঁবেন না এই ৬টি মাছ!প্রেগনেন্ট মহিলা থেকে শিশু প্রত্যেকেই হয়ে যান সাবধান!

ভুলেও ছোঁবেন না
এই ৬টি মাছ

এই মাছগুলোতে লুকিয়ে রয়েছে
বেশ কয়েকটি বিষাক্ত উপাদান!

এগুলো খেলেই
মৃত্যু বেড়ে যায় শতগুণ!

প্রেগনেন্ট মহিলা থেকে শিশু প্রত্যেকেই হয়ে যান সাবধান!

কি নাম এই মাছগুলোর?
জানুন বিস্তারিত

মাছ, বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাদ্য। কথাতেই বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালির যে কোনো উৎসবেই তাই ফিশ আইটেম মাস্ট। তবে কিছু মাছ ক্ষতিকারক আমাদের শরীরের জন্য। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন এই সকল মাছ শরীরের জন্য ডেকে আনতে পারে বিপদ। বিশেষত আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে আপনাকে মেথিলমার্কারি আছে এমন মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ধরনের বিষাক্ত উপাদান ভ্রুণ, ছোট্ট শিশু ও বাচ্চাদের স্নায়ুতন্ত্র গঠনেও সমস্যা করে। আসুন এবারে এক নজরে দেখে নিই সেই সকল মাছের তালিকা।

১.টুনা
এই টুনা মাছ বিদেশী। বিদেশি হলেও এখন এই মাছ ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে বাঙালীর খাবারের তালিকায়। এই টুনাতে প্রচুর পরিমাণে পারদ থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাছাড়া যেসমস্ত ফার্মে টুনা চাষ করা হয়, সেখানে মাছকে প্রচুর পরিমাণে হরমোন ও অ্যান্টি-বায়োটিক ইঞ্জেক্ট করা হয়। যা অত্যন্ত ভয়ানক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য।

২. ইমপোর্টেড মাগুর মাছ
সাধারনত এই মাছটি অত্যন্ত উপকারি মাছ বলে বিবেচিত হয়। তবে সব মাগুর মাছ উপকারী নয়। আর এই ভালো – মন্দটি নির্ভর করে মাছের সাইজের ওপর। আসলে মাছের সাইজ যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ে, সেজন্য অনেকসময় মাছচাষীরা নানারকম হরমোন ইঞ্জেকশন পুশ করেন মাছের শরীরে। তাই এবারে বাজারে গেলে বড় সাইজের মাগুর কেনা বন্ধ করুন। ছোট সাইজের মাছ কিনুন। অপকারের বদলে উপকার পাবেন।

৩. পাংগাস মাছ:
অত্যন্ত টেস্টি এই মাছ জনপ্রিয় বাঙালি বাড়িগুলোতে। কিন্তু আমরা বাজার থেকে যে পাংগাস কিনি, সেগুলি সবই কারখানায় চাষ করা হয়। আর এখানেই বিষ হয়ে যায় পাঙ্গাস। ফার্মে পাঙ্গাস স্বাদ বাড়ানোর ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক সার। সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক, তার মধ্যে কিছু এমনও রাসায়নিক রয়েছে যেগুলি দায়ী ক্যান্সারের জন্য। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ ভাবে বাঁচতে অবশ্যই মাছ খান তবে পাংগাস নয়।

৪. ম্যাকারেল:
ঐতিহ্যগত ভাবে বাঙালির মাছ না হলেও। শপিং মল ও রেস্তোরাঁর দৌলতে বাঙালী এখন পোনামাছের পাশাপাশি ম্যাকারেল খেতেও দিব্যি পারদর্শী। এই ম্যাকারেলেও পারদ থাকে। আর আপনি যদি ম্যাকারেল খান, তাহলে ওই পারদ কিন্তু আপনার পেটেই জমা হতে থাকবে। যার ফলে বারোটা বাজবে আপনার শরীরের। তাই এবার থেকে ম্যাকারেলকে একটু এড়িয়েই চলুন।

৫. তেলাপিয়া: বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় এই মাছ। তবে এই তেলপিয়া অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। বিশেষত বাজারে চলতি বড় সাইজের তেলাপিয়া। এগুলি যথেষ্ট ক্ষতিকারক শরীরের জন্য। এতে থাকা ফ্যাট এর ফলে শরীরে বৃদ্ধি পায় কোলেস্টরল ও হার্টের সমস্যা। তাছাড়া আপনার যদি হাঁপানি বা আরথ্রাইটিস থাকে তাহলেও তেলাপিয়া মাছ না খাওয়াই উচিত।

৬. পাঁকালমাছ:

তৈলাক্ত এই মাছটি পানিতে প্রাপ্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং ফার্মের বর্জ্য পদার্থ খেয়ে বড় হয়। তাই মাছটি পুরোপুরি দূষিত বলে মনে করা হয়। এতে পারদের পরিমাণ মানব দেহের জন্য সহনীয় মাত্রায় থাকে না। তাই এই মাছটি কখনোই না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *