বিরাট চুলের ছাঁট

নামের মতোই সময়টাও ‘বিরাট’ ভালো যাচ্ছে কিং কোহলির। রবিবার নিজের জন্মদিনেই একদিনের ক্রিকেটে শচীন তেন্ডুলকারের ৪৯ তম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিরাট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মুহূর্তে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে রয়েছেন কোহলি। রবিবার ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট একাই  পেরিয়েছেন শতরানের গণ্ডি। তবে তিনি শুধু বিশ্বের  অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবেই নয় স্টাইল আইকন হিসেবেও  অসংখ্য ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে তাঁর।

চুল-দাড়ির ছাঁট বদলে মাঝেমধ্যেই ভক্তদের চমকে দেন বিরাট। কিন্তু জানেন বারবার নিজের চুল-দাড়ির ছাঁট বদলানোর জন্য কত টাকা খরচ করেন ভারতীয় এই ক্রিকেট তারকা? শুধুমাত্র নিজের চুল দাড়ি কাটাতে বিরাট কোহলি যে পরিমাণ টাকা খরচ করেন তা দিয়ে হামেশাই কেনা যেতে পারে কোন দামি মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা ভালো বাইকও।

তাই বোঝাই যাচ্ছে বিরাটের মতো দামি ক্রিকেটারের কেশশয্যা শিল্পীও কিন্তু কোনো যে সে  ব্যক্তি নয়। তাই তাঁর  পারিশ্রমিকের অঙ্কটাও কিন্তু আকাশছোঁয়া। চুল কাটাতে বিরাট যান দিল্লির অশোক বিহারের স্টুডিও ১৭ নামে একটি দামি স্যালোঁতে।

সেখানেই বিরাটের চুল-দাড়িতে নিজের হাতের জাদু দেখান বিখ্যাত কেশ-শয্যা শিল্পী রশিদ সলমানি। বিখ্যাত এই  শিল্পী চুলে হাত লাগালেই খরচ হয় কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকা। ক্ষেত্রবিশেষে সেই অংক ছাড়িয়ে যায় চল্লিশ হাজারও। তবে বিরাটের ক্ষেত্রে অংকটা আরও বেশি। তবে গোঁফ দাড়ি কাটাতে গেলে খরচ করতে হয় আলাদা টাকা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর বিরাটের চুল কাটাতে আশি হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেন রাশিদ।

তবে বিরাট একা নন শুভমন গিল, হার্দিক পাণ্ড্য, সূর্যকুমার যাদবের মত ভারতীয় ক্রিকেটারদের চুলেও কাঁচি চালান তিনি। তবে জানলে অবাক হবেন বিরাটের এই সেলেব্রেটি শিল্পীর কাছে চুল কাটানোর জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় আগে থেকে।

আদতে বিহারের বাসিন্দা রাশিদ একসময় কেশ শয্যা নিয়ে নিয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে রাশিদ  জানিয়েছিলেন শুধুমাত্র তাঁর  কাছে চুল কাটানোর জন্য বিয়ের একদিন আগে বিমানে চেপে তাঁর  স্যালোঁতে পৌঁছেছিলেন বিখ্যাত ক্রিকেটার রাহুল তেওয়াটিয়া। তবে শুধু ভারতীয় ক্রিকেটাররাই নয় রাশিদের গ্রাহকদের তালিকায় রয়েছেন বিদেশি খেলোয়াড় ডু প্লেসিস, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কিংবা জেসন রয়েরও।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *