রক্ষাকালী, শ্মশান কালী, দক্ষিণা কালী , ঠিক কি কি কারণে বদলে যায় মা কালীর রূপ!
রক্ষাকালী, শ্মশান কালী, দক্ষিণা কালী , ঠিক কি কি কারণে বদলে যায় মা কালীর রূপ! মায়ের প্রতিটি রূপের পিছনে রয়েছে আলাদা আলাদা কারণ। অন্যান্য দেব দেবীদের তো এত পরিচয় নেই। কিন্তু কালীর এত রূপ হল কি করে? সব থেকে রাগী দেবী হিসেবে মানা হয় মা কালীকে। সব থেকে শক্তিশালী ও জাগ্রত। অন্যান্য পুজোর থেকেও কালী মায়ের পুজোয় নিয়ম নীতি অনেক বেশি। ভুল ভ্রান্তি হলেই মুশকিল। কালী মায়ের একাধিক রূপ। তিনি নানা রূপে, নানা বেশে পূজিত হন। তবে তিনটি রূপে তিনি সবচেয়ে বেশি পুজো পান। রক্ষাকালী, শ্মশান কালী, দক্ষিণা কালী। দেখুন কিভাবে তিন ক্ষেত্রে বদলে যায় মা কালীর রূপ –
১, দক্ষিণা কালী – পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বেশি পূজিত হন হয় দক্ষিণাকালী। এই রূপ মা খুবই স্নিগ্ধময়। দক্ষিণা কালকে আবার শ্যামা কালী নামেও পরিচিত। দক্ষিণা কালীর গায়ের রং হয় নীল, ত্রিনয়নী মুক্তকেশী, সঙ্গে থাকে চারটি হাত এবং গলায় থাকে মুন্ডু মালা।
২, শ্মশান কালী – মা কালীর অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি রূপ হলো শ্মশান কালী। দক্ষিণা কালীকে বাড়িতে পুজো করা গেলেও শ্মশান কালকে কিন্তু বাড়িতে পূজা করা যায় না। প্রাচীনকালে ডাকাতেরা শ্মশানে মা কালীর পুজো করতেন বিজয় লাভের জন্য। সেখান থেকেই শ্মশান কালীর উদ্ভাবন। শ্মশান কালী খুবই জাগ্রত। শ্মশান কালীর দেখতেও কিছুটা ভয়ানক। উগ্রতা, ধ্বংস, ক্রোধ শ্মশান কালীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শ্মশানে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে শ্মশান কালীর পুজো হয়ে থাকে।
৩, রক্ষা কালী – মায়ের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করার বাসনা নিয়ে যখন পুজো করা হয় তখন রক্ষা কালীর পুজো করা হয়। ভক্তের সমস্ত মনস্কামনা পূরণে জাগ্রত থাকেন রক্ষা কালী।
Leave a Reply