১০ বছরের পুরনো শাড়িও থাকবে একেবারে নতুনের মতন! শুধুমাত্র যত্ন করুন এইভাবে, এড়িয়ে চলুন ৫টি কাজ
১০ বছরের পুরনো শাড়িও থাকবে একেবারে নতুনের মতন। শুধুমাত্র যত্ন করুন এইভাবে। যতই পুরনো শাড়ি হোক না কেন একটুও নষ্ট হবে না। ৫০ বছর পরেও করবে চকচক। ছিঁড়েও যাবে না, রংও থাকবে অটুট। শাড়ির প্রতি বাঙালি নারীর টান একটু বেশি। আলমারিতে আর যাই থাকুক না কেন শাড়ির সংখ্যাটা বেশিই থাকবে। তবে শাড়ি বেশ আদুরে স্বভাবের। এর যত্নও নিতে হয় বিশেষ নিয়মে। একে সামলে না রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভাজ করা শাড়ির ফাঁকে চিড় ধরতে পারে। অনেক সময় মহিলারা বেশ কিছু ভুল করে ফেলেন। যে কারণে নতুন শাড়িও অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মোটা টাকা দিয়ে কেনা সাধের শাড়ি চলে যায় বাতিলের খাতায়। তাই শাড়ির যত্নে এই ৫টি ভুল এড়িয়ে চলুন –
১, না জেনেই শাড়ি জলে দেবেন না – অনেকেই শাড়ির ধরন না জেনে না বুঝে জলে ধুয়ে নেন। এটাই হলো সব থেকে বড় ভুল। মনে রাখবেন সব শাড়ি একই পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা যায় না। প্রতিটি শাড়ির ধরন আলাদা হয়। সে সমস্ত ধরন মাথায় রেখে শাড়ি পরিস্কার করা হয়। যেমন আপনি জামদানি শাড়ি কখনও জলে ধুতে পারবেন না। এতে করে জামদানি শাড়ির কোয়ালিটি সম্পূর্ণ নষ্ট যেতে পারে। জামদানি ধাঁচের শাড়ি সর্বদা ড্রাই ওয়াশ করতে হয়। আবার এক্ষেত্রে আপনি যদি সুতির শাড়ি পরিষ্কার করতে চান তাহলে সেটিকে জলে ডুবিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
২, রোদে দেওয়ার নিয়ম – অনেকেই দিনের পর দিন আলমারিতে শাড়ি ফেলে রাখেন। যা শাড়ি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। শাড়ি মাঝে রোদে দিতে হয়। বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে এবং অনুষ্ঠান থেকে ফিরে এসে শাড়ি ভালোভাবে ঝেড়ে রোদে দেওয়া আবশ্যক। ব্যবহারের পর শাড়ি ভালো করে পরিষ্কার না করে আলমারিতে তুলে রাখলে, শাড়ি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।
৩, আলমারিতে শাড়ি রাখার নিয়ম – সব সারির তন্তু একই রকম হয় না। কোনোটা সুতির, কোনোটা লিনেনের, কোনোটা জর্জেটের হয়। সুতির শাড়ি কিংবা জামদানি শাড়ি সবসময় টাঙিয়ে রাখা উচিত। এতে শাড়িতে ভাঁজ পড়ে ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। অন্যদিকে লিনেন কিংবা জর্জেট আপনি ভাজ করেও রাখতে পারেন।
৪, শাড়িতে কর্পূর দেবেন না – অনেকেই আলমারিতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে কর্পূর রাখেন। যা আপনার শাড়িকে অজান্তেই নষ্ট করে দেয়। কর্পূর এমন একটি কেমিক্যাল যা জামাকাপড়ের ক্ষতি করে। অনেকেই জানেন না বলেই আলমারিতে কর্পূর রাখেন। তাই আপনার যে আলমারিতে শাড়ি থাকবে সেখানে কর্পূর দেবেন না।
৫, ফলস পার ছাড়া শাড়ি পরবেন না – শাড়িতে সব সময় ফলস পার লাগিয়ে নিন। এতে করে শাড়ি অনেক বেশি টেকসই হয়। শাড়ির ওপর ধকলও কম যায়।
Leave a Reply