ডিসেম্বর থেকেই বন্ধ রেশন পরিষেবা! পশ্চিমবঙ্গে আর মিলবে না রেশন সামগ্রী, চরম হুঁশিয়ারি ডিলারদের

*ডিসেম্বর থেকেই বন্ধ রেশন পরিষেবা! পশ্চিমবঙ্গে আর মিলবে না রেশন সামগ্রী, চরম হুঁশিয়ারি রেশন ডিলারদের*

ডিসেম্বর থেকেই বন্ধ রেশন পরিষেবা! পশ্চিমবঙ্গে আর মিলবে না রেশন সামগ্রী! চরম হুঁশিয়ারি ডিলারদের। লাইনে দাঁড়িয়েও মিলবে না চাল, গম, আটা। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে উচিত শিক্ষা দিতেই এমনই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তারা। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার তাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন দাবি দাওয়া পূরণ করেননি। যে কারণে বেজায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বারংবার সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও রাজ্য সরকার তাদের সাহায্য করেনি। দীর্ঘদিন ধরে রেশন ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর দাবি করে আসছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। তাদের দাবি মতে, মূল্যবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হলেও তাদের কমিশন যা ছিল তাই রয়েছে। কোন পরিবর্তনই আনা হয়নি।

*এই বিষয়ে, ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের এক কর্তা জানান, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কুড়ি টাকা কমিশন বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার।* কিন্তু সেই টাকায় তাদের চলছে কিনা সেই নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই কেন্দ্র সরকারের। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। জানিয়েছেন এই বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের দারস্ত হলেও কোন সুরাহা মেলেনি। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার দুজনেই বিষয়টিকে হেলাফেলা করেছে। তাদের আরো অভিযোগ করোনার সময় রাজ্য যখন বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল, সেই সময় ডিলাররা নিজেদের পকেট থেকে কেনা রেশন সামগ্রী বিনা পয়সায় বিলি করেছিল। অর্থাৎ বিনা পয়সাই যে রেশন দেওয়া হয়েছিল তার পুরো অংশটাই ব্যবস্থা করেছিল রেশন ডিলাররা। সেই সময় তাদের পকেট থেকে যে পয়সা খরচ হয়েছে, সেই বকেয়া টাকা এখনো মেটানো হয়নি। রেশন সামগ্রীর হ্যান্ডলিং লস এর টাকাও অনেক সময় ঠিকঠাক করে দেওয়া হয় না। এই সমস্ত সমস্যা সমাধান না হলে কিভাবে রেশন পরিষেবা দেবে? প্রশ্ন তুলছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের ডিলাররা। তাদের দাবি, সচ্ছল জীবন যাপনের জন্য তাদের ন্যূনতম মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা করবার জন্য যে কমিশন বৃদ্ধি করার দরকার সেই পরিমাণ কমিশন বৃদ্ধি করতে হবে। সঠিক ওজনে রেশন দোকানে মাল ডেলিভারি ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মানুষের পছন্দের যে অধিকার অর্থাৎ সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী কোনও রেশন উপভোক্তা গম নেবে না আটা নেবে , সেই অধিকারকে অবশ্যই মর্যাদা দিতে হবে।

এই সমস্ত দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে তারা রেশন পরিষেবা চালু রাখতে পারবেন না। তাদের দাবি দাওয়া মিটলে তবেই ডিসেম্বরে রেশন পরিষেবা চালু রাখা হবে। নয়তো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা। এখন রেশন ডিলাররা যদি এই পরিষেবা বন্ধ করে দেয় তাহলে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ? কি হবে সে মানুষগুলোর যারা রেশন পরিষেবার উপর নির্ভরশীল? এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কেন্দ্র এবং রাজ্য কোন পদক্ষেপের পথে হাঁটবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা!


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *