সপ্তাহখানেক ধরে কাশিতে ভুগছেন? কফ সিরাপ ছাড়ুন, পাতে রাখুন রান্নাঘরের এই ৫টি উপাদান

সপ্তাহখানেক ধরে কাশিতে ভুগছেন? কফ সিরাপ ছাড়ুন, পাতে রাখুন রান্নাঘরের এই ৫টি উপাদান

সপ্তাহখানেক ধরে কাশিতে ভুগছেন? বুকে কফ জমে হয়রানি! কাশির চোটে মাঝরাতে ভেঙে যাচ্ছে ঘুম? সিরাপ খেয়েও কাজ হচ্ছে না! চিন্তা ছেড়ে ভরসা রাখুন রান্নাঘরে থাকা ৫টি উপাদানে। যা বড় বড় কাশির সিরাপ থেকেও শক্তিশালী। শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। শীত মানেই সর্দি, কাশি। দুর্গা পুজোর পর থেকেই অনেকেরই কাশি শুরু হয়েছে। ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে এই কাশির সমস্যা। বহু দিন ধরেই লেগে আছে অনেকের। সিরাপ খেয়েও যাচ্ছে না। এই সমস্যা একদিকে যেমন অস্বস্তিকর তেমনি গলার জন্যও ক্ষতিকারক। ফুসফুসের পক্ষেও বিপদজনক। কাশি পুরনো হলে, গলা দিয়ে রক্তও পড়ে। আবার টনসিলে ঘা হয়। এমনকি বুকে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বড় বড় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। কারণ বিরক্তিকর এই কাশি তাড়ানোর ঔষধ বাড়িতেই আছে।

১, মধু – কাশি থামাতে মধুর বিকল্প আর কিছুই হয় না। মধু এমন একটি উপাদান যার মধ্যে আন্টিব্যাকটেরিয়াল নানা ধরনের উপাদান থাকে। আর এই উপাদানগুলো কাশির জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারদর্শী। মধু খেলে অনেক পুরনো কাশিও অল্প সময়ের মধ্যে দূর হয়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে মধুকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

২, রসুন – পুরনো যুগে রোগ তাড়ানোর ওষুধ হিসেবে রসুনের ব্যাপক ব্যবহার হত। রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। রসুনের এই গুণগুলো মানব শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। চিকিৎসকদের মতে নিয়মিত পাতে রসুন রাখলে সর্দি কাশি দূরে থাকে।

৩, আদা – কাশি হয়েছে আর আদা খাবেন না এমনটা হয়? কাশির সবথেকে উপযোগী ওষুধ আদা। কাশি সারাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। আদা প্রাকৃতিকভাবেই প্রদাহ বিরোধী ওষুধের মত কাজ করে। আদা এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও ক্যান্সার বিরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ। কাশি হলে লিকার চা কিংবা সুপের সঙ্গে আদা কুচি করে খেলে কাশি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টুকরো আদা থেঁতলে মুখে রাখলে আদার রস বুক থেকে কাশি ওঠাতে সাহায্য করে।

৪, বাসক পাতা – খুসখুসে কাশি, বুকে জমা পুরনো কফ দূর করতে বাসক পাতা সবথেকে বেশি উপকারী। বাসক পাতার রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কাশি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাসক পাতার রস খেলে টনসিলের ব্যথা কমে, ফুসফুসও ভালো থাকে।

৫, কলা – অনেকেই ভাবেন কলা খেলে ঠান্ডা লেগে যায়। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। উল্টে কলায় এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা কাশি উপশম করতে সাহায্য করে। তাই কাশি হলে নিয়মিত কলা খেতে পারেন এতে ভয়ের কিছুই নেই।

তবে মনে রাখবেন বন্ধুরা, কাশির সমস্যা মাত্র ছাড়িয়ে গেলে অবশ্যই নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *