ফারহা খান

ফিল্মি তারকাদের কাছে বলিউড মানেই বিশাল একটা সমুদ্রের মতো। তবে সেখানে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতেই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে কোরিগ্রাফার সকলকেই। কিন্তু প্রতিভার কাছে বরাবরই হার মেনেছে সমস্ত বাধা বিপত্তি।

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা তথা কোরিওগ্রাফার রয়েছেন যিনি নিজের প্রতিভার জোরেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। কোরিওগ্রাফার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করলেও শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার সিনেমার পরিচালক হিসেবে পৌঁছে ছিলেন সাফল্যের শিখরে। কি ভাবছেন কে সেই প্রতিভাবান পরিচালক তথা কোরিওগ্রাফার?

সেলিব্রেটি পরিবারের সদস্য এই চলচ্চিত্র নির্মাতার ভাই ‘বিগ বস ১৬’-এর প্রতিযোগী ছিলেন। ছোট থেকেই তারা দুই ভাই বোনই খুব ভালো নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তাঁদের বাবা প্রয়াত স্টান্টম্যান এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কামরান খান। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এখানে কথা হচ্ছে বলিউডের জনপ্রিয় মহিলা কোরিওগ্রাফার ফারহা খান।

গোটা দুনিয়া এখন তাকে এক ডাকে চেনে। আজ তার কাছে নাম-যশ, টাকা-পয়সা কোন কিছুরই অভাব নেই। কিন্তু তাঁর এই সাফল্য কিন্তু একদিনে আসেনি। একটা সময় ব্যাপক স্ট্রাগল করতে হয়েছিল ফারাহ খানকে। ফারাহ  বর্তমানে একজন বলিউডের অন্যতম সফল পরিচালক এবং কোরিওগ্রাফার।

একবার ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে ফারাহ জানিয়েছিলেন বাবার মৃত্যুর একসময় তাঁদের মাথার উপরে ছাদ ছিল না। , এক আত্মীয়ের স্টোররুমের ঘুপচি ঘরে টানা ৬ বছর থেকেছিলেন গোটা পরিবার নিয়ে। ফারাহর কথায় ‘আজ অনেকে বলেন, আমাদের পরিবার অনেক সুযোগ সুবিধা পায়। আমরা নাকি ধনী। কিন্তু, একসময় আমরাও অনেক স্ট্রাগল করেছি। আজ যেখানে পৌঁছেছি তা নিজেদের প্রতিভার জোরে।’

একবার ফারাহার স্ট্রাগল নিয়ে বিগ বসের মঞ্চে তাঁর ভাই সাজিদ খান জানিয়েছিলেন, ছোট থেকেই ফারহা একজন প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অর্থ উপার্জনের জন্য কেরিয়ারের শুরুত জুহুর সমুদ্র সৈকতে নাচতেন ফারহা। সেখান থেকেই তাঁর কাছে  একজন কোরিওগ্রাফারকে অ্যাসিস্ট করার সুযোগ আসে।

বলিউডে ডেবিউ

‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’ সিনেমার হাত ধরেই বলিউডে হাতেখড়ি হয়েছিল ফারহার। উটিতে যখন এই সিনেমার    শুটিং চলছিল তখন এই সিনেমার কোরিওগ্রাফার কোনো কারণবশত আসতে পারেননি। পরে পরিচালক মনসুর খান তাকে ‘পেহলা নাশা’- গানের কোরিওগ্রাফ করার সুযোগ দেন। এভাবেই তিনি বলিউডে প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

‘ম্যা হুঁ  না’ সিনেমার পরিচালক হিসাবে বলিজগতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি ওম শান্তি ওম, হ্যাপি নিউ ইয়ার, শিরিন ফরাদ কি তো নিকাল পাড়ি সহ অনেক সিনেমা পরিচালনা করেন তিনি। এখন বেশীরভাগ রিয়ালিটি শোতে বিচারক হিসেবে দেখা যায় তাঁকে। ২০০৪ সালে শিরীষ কুন্দরকে বিয়ে করেন ফারহা। তাঁদের  তিন সন্তান জার, ডিভা এবং আন্যা এখন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে।  ৫৮ বছরের এই পরিচালক বতমানে ৪১৭ কোটি টাকার মালিক। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর একটি গানের কোরিওগ্রাফির জন্য ৫০ লাখ টাকা নেন ফারহা ।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *