প্রিয়দর্শিনী মল্লিক

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমের নজরে রয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। পরনে সাদামাটা পোশাক, টানটান করে বাধা চুল আর ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট চোখে মুখে। ইদানিং সিজিও কমপ্লেক্সে বারবার দেখা যাচ্ছে তাকে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই এখন তার মেয়েকে নিয়ে চর্চা চলছে নানা মহলে। ইডির তদন্তকারী অফিসারদের আতস কাঁচের তলায় রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর সম্পত্তির পরিমাণও। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে রিটার্নের নথি খতিয়ে ইডি জানতে পেরেছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী নাকি টিউশন পড়িয়ে ৩.৩৭ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।

এসবের মধ্যেই প্রশ্ন প্রিয়দর্শিনী অর্থাৎ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। অনেকেই জানতে চাইছেন কত দূর পড়াশোনা করেছেন প্রিয়দর্শিনী? তাঁর লিঙ্কড ইন প্রোফাইল থেকে জানা যাচ্ছে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাল থেকে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল তুলসী পাতা থেকে ওষুধ তৈরি। করা। অত্যন্ত সহজলভ্য এই পাতা কিভাবে মানুষের বিভিন্ন অঙ্গে প্রদাহ কমাতে পারে, তা নিয়েই গবেষণা করেছেন তিনি।

তবে অনেকেই জানেন না প্রিয়দর্শিনী নিজেও একজন অধ্যাপিকা। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আশুতোষ কলেজে পূর্ণ সময়ের অধ্যাপিকা হিসেবে নিযুক্ত তিনি। করেন মন্ত্রী-কন্যা। তাছাড়াও ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। তাঁর বিষয় হল, মাইক্রোবায়োলজি, লাইফ সায়েন্স, ভাইরোলজি, ইমিউনোলজি ও মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি। ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন তিনি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর। কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে তাঁর বার্ষিক আয় ২.৪৮ লাখ টাকা। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩.৩৭ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে ইডির জেরার মুখে পড়ে প্রিয়দর্শিনী নাকি জানিয়েছেন, তিনি এই টাকা টিউশন পড়িয়ে আয় করেছেন। ইডি-র দাবি, যে সব ভুয়ো সংস্থার খোঁজ মিলেছে, তার মধ্যে কয়েকটির ডিরেক্টর ছিলেন প্রিয়দর্শিনী। যদিও তল্লাশি চালানোর সময় ওই বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই উল্লেখ করছেন তিনি। এছাড়াও বিতর্ক তৈরি হচ্ছে তাকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদে বসানো নিয়েও। বাবার গ্রেফতারির পর প্রিয়দর্শিনীর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদ থাকবে কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *