জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত জানেন? টিউশন পড়িয়েই কামান কোটি কোটি টাকা

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত জানেন? টিউশন পড়িয়েই কামান কোটি কোটি টাকা

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের
শিক্ষাগত যোগ্যতা কত জানেন?

গবেষণা করছেন
নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে!

অর্জন করেছেন
বড় বড় ডিগ্রী

টিউশন পড়িয়েই তার
রোজগার কোটি কোটি টাকা!

ঠিক কতদূর পড়াশুনো করেছেন?
শুনলে আঁতকে উঠবেন!

রেশন কেলেঙ্কারি সামনে আসতেই তোলপাড় গোটা বাংলা। ইতিমধ্যেই ইডির হাতে গ্রেপ্তার রেশন দুর্নীতির অন্যতম ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যাকে আটক করার পর থেকেই উঠে আসছে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরই মধ্যে বেরিয়ে এসেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অগাধ সম্পত্তির হদিশ। তদন্তের গতি বাড়তে ইডির জালে উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি। যার বেশির ভাগেরই কোনও বৈধ হিসেব দেখাতে পারেননি প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী। এই মুহূর্তে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে শাসক দল। এদিকে এই অস্বস্তির মাত্রা আরো বাড়িয়ে তুলেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গুণধর কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। কারণ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের নামেও পাওয়া গিয়েছে বিস্তর সম্পত্তি। অবৈধ সংস্থার সঙ্গে জড়িয়েছে নাম। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের নামে যে সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সমস্ত সম্পত্তির পরিমাণের সাথে আয়ের কোনও মিলই নেই। অর্থাৎ উপার্জনের সাথে সম্পত্তির পরিমাণের আকাশ পাতাল ফারাক। এমনটাই জানিয়েছেন ইডি অধিকারিকেরা।

তদন্তে উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গুণধর কন্যার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৩৭ কোটি টাকা। সম্পত্তির পরিমাণ দেখে প্রশ্ন উঠছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে কি এমন করেন যে এত টাকার মালিক হয়েছেন! কোন পেশায় যুক্ত প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর কন্যা? উত্তর বেরিয়ে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একমাত্র কন্যা পেশায় অধ্যাপিকা। তিনি গবেষণার সঙ্গেও যুক্ত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিইচডি সম্পন্ন করেছেন। তুলসী পাতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তুলসী পাতা কি, তুলসী পাতা থেকে কিভাবে ওষুধ তৈরি হয়, তুলসী পাতা কোন কোন রোগের উপশমে কাজে লাগে সেই নিয়েই দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা। তদন্ত আধিকারিকেরা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না, সামান্য একজন অধ্যাপিকা হয়ে এত টাকা উপার্জন কিভাবে সম্ভব। সাধারণত ভারতের মত দেশে অধ্যাপিকা কিংবা গবেষক এই ধরনের পেশায় উপার্জনের মাত্রা অত্যধিক নয়। ফলস্বরূপ এই পেশায় অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়া অলীক স্বপ্ন। বাড়তি ইনকাম সোর্স না থাকলে অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়া একেবারেই অবান্তর। এখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা কিভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন এবং কোন পথে এই বাড়তি উপার্জন করলেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মরিয়া তদন্ত আধিকারিকেরা।

এদিকে সম্পত্তি ছাড়াও তদন্ত আধিকারিকদের ভাবিয়ে তুলছে আরো একটি বিষয়। পেশাদারী জীবনেও যেমন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যাকে কেন্দ্র করে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে, একই ভাবে সন্দেহ তৈরি হয়েছে আরো একটি জায়গায়। ইডির দাবি, অধ্যাপিকার পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে নাকি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদেও দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। এখানেই শেষ নয়। আরো আছে। প্রিয়দর্শিনী মল্লিক নাকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পূর্ন সময়ের একজন অধ্যাপিকা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি যুক্ত ছিলেন ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজের সঙ্গেও। আরো খবর পাওয়া গিয়েছে ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা। তিনি যে যে বিষয়গুলো দেখতেন সেগুলো হল, মাইক্রোবায়োলজি, লাইফ সাইন্স, ভাইরোলজি, ইমিউনোলজি ও মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি। একই সাথে এতগুলো দায়িত্ব কিভাবে পরিচালনা করতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা সেই নিয়েও সন্দিহান তদন্ত আধিকারিকেরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *